সরকারি বিপণন সংস্থা—ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ (টিসিবি)ও বলছে, ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকা আর দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ১২০ শতাংশ। আর কেবল গত একমাসেই পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ৭৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর হঠাৎ প্রতিবেশী দেশ ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির মূল্য হু-হু করে বেড়ে যায়। গত কয়েকদিন ধরে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) কিছুটা কমলেও ১০০ টাকারও ওপরে ছিল।
কারওয়ান বাজার এলাকায় বাজার করতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সেলিম উদ্দিন পেঁয়াজের উচ্চ মুল্যের কারণে হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘যারা সীমিত আয়ের মানুষ, তাদের জন্য ১০০ টাকার বেশি দরে পেঁয়াজ কেনা খুবই কষ্টের। বাণিজ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কিছুটা সাহস পেয়েছিলাম। কিন্তু বাজারে এসে হতাশ হওয়া ছাড়া আর কোনও পথ নেই।’ সেলিম উদ্দিনের মত আরেকজন ক্রেতা রফিকুল ইসলামও পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করলেন।
তবে,পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিয়ানমার, মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আসছে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। এতে মূল্য কিছুটা কমেছে। সামনে মিসর ও তুরস্কের পেঁয়াজ বাজারে এলে আগামী সপ্তাহে মূল্য আরও কমবে বলেও তারা জানান।
২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরই মূল্য ১০০ টাকার ওপরে উঠে যায়। নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারও নানামুখী উদ্যোগ নেয়। বাজার ঠিক রাখতে ৪৫ টাকা কেজি দরে রাজধানীর ৩৫ স্থানে টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি করে। এমন পরিস্থিতে গত বুধবার (২ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ৪৮৩ টন পেঁয়াজ এসেছে। আরও ৪০০-৫০০ টন আসবে। ফলে শুক্রবারের মধ্যে পেঁয়াজের মূল্য ৬০-৭০ টাকায় চলে আসবে।’ কিন্তু বাজারগুলোতে দেখা গেছে, পেঁয়াজের মূল্য এখনও ১০০ টাকার ওপরেই রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের মূল্য কমানোর জন্য আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি, তার ফল পেয়েছি। ইতোমধ্যেই পাইকারি বাজারে কেজিতে পেঁয়াজের মূল্য ২০-২৫ টাকা কমেছে।’ শিগগিরই এই ইতিবাচক প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।