ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলেছে: বাণিজ্যমন্ত্রী




পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ভারতীয় সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ভারতের হঠাৎ করে নেওয়া পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলেছে। এ ধরনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আগে জানালে আমরা ন্যায্যমূল্যে বিকল্প পথে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পারতাম। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভারতের আসাম রাজ্যের গোয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ স্টেকহোল্ডার্স বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম ব্যবসায়ীক অংশীদার। দু’দেশের বাণিজ্য বেড়েই চলছে। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে দু’দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে বাংলাদেশের রফতানি মাত্র ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারত সাফটার আওতায় বাংলাদেশকে বেশিরভাগ পণ্যে ডিউটি ফ্রি মার্কেট সুবিধা দিচ্ছে। তবে ভারত সরকার আরোপিত ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বেরিয়ার, খাদ্য পণ্যের টেস্টিং প্রক্রিয়া, ন্যূনতম রফতানিমূল্য নির্ধারণসহ নানা কারণে বাংলাদেশ প্রত্যাশা মাফিক পণ্য রফতানি করতে পারেছে না। সমস্যাগুলো ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষ করে উত্তরপূর্ব ভারতের জন্য এসব আইন শিথিল করা একান্ত প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে অপরিকল্পিত যোগাযোগ ব্যবস্থা সাউথ এশিয়ায় বাণিজ্য বৃদ্ধির অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। সাসেক (সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকনোমিক কোঅপারেশন) পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বিবিআইএন মোটর ভেহিক্যাল অ্যাগ্রিমেন্ট, ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড প্রটোকল চুক্তি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে এসওপি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে এখনও সন্তোষজনক সুফল অর্জিত হয়নি। এখন সময় এসেছে বর্ণিত উদ্যোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে সুফল অর্জন করার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-আসামের চিফ মিনিস্টার সর্বানন্দ সোনোওয়াল, ত্রিপুরার চিফ মিনিস্টার বিপ্লব কুমার দেব, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ভারত সরকারের রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়ে বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিং, আসাম সরকারের অর্থমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং আসাম সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটওয়ারী।