বিদ্যুৎ বিনিময় দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে সহযোগিতা করবে: নসরুল হামিদ

কাঠমান্ডুতে পাওয়ার সামিটে নসরুল হামিদবিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর ভূ-রাজনৈতিক অবস্থার সমন্বিত উন্নয়নে বিদ্যুৎ বাণিজ্য তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে। এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিনিময় দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা করবে। সুষম উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতাও বিনিময় করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত ‘পাওয়ার সামিট-২০১৯’-এ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জে্যষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ বলেন, ভারত থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ। নেপাল ও ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আমদানি করতে ইচ্ছুক। শীতকালে বাংলাদেশ থেকেও নেপাল ও ভুটান বিদ্যুৎ নিতে পারে, কেননা তখন বাংলাদেশের চাহিদা কম থাকে। অন্যদিকে নেপাল ও ভুটানে চাহিদা বেশি থাকে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতা ভারতের সেভেন সিস্টারস রাজ্যগুলোতে বাড়ানো যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক পাওয়ার মিক্স, গ্রিড কোড, অভিজ্ঞতা বিনিময়, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি, সোলার হোম সিস্টেম ইত্যাদি ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এসব সুযোগ কাজে লাগানো গেলে আগামীতে আমরা শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া দেখতে পাবো।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, নেপালের কারনেলি হাইড্রো পাওয়ার প্রকল্প থেকে জিএমআর-এর মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি প্রায় চূড়ান্ত। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য এসময় তিনি দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সমন্বয় সভার ওপর গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে নেপালের জ্বালানি, পানি ও কৃষিমন্ত্রী বার্শামান পুন, ভুটানের অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী লোকনাথ শর্মা ও নেপালের ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসর অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কুমার পান্ডে বক্তব্য রাখেন।