খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ময়দার মূল্য কেজিতে বেড়েছে ছয় থেকে আট টাকার মতো। খুচরা বাজারে খোলা ময়দা প্রতি কেজি ৪০ টাকায় উঠেছে। যা এক সপ্তাহ আগে ৩২ থেকে ৩৪ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত। ময়দার মতো আটার দামও কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এই পণ্যটি ৩২ থেকে ৩৫ টাকায় পাওয়া যেত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে চালের দাম। নাজির ও মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে এই চালের দাম ছিল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজি। এছাড়া নতুন করে বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি হালিতে তিন টাকা বেড়ে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, এখন শীতের অধিকাংশ সবজির দাম হওয়া উচিত ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। মানিকনগর এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘নভেম্বর মাস শেষ হতে চলছে। বছরের এ সময় মুলার দাম পাঁচ থেকে ছয় টাকা হয়। ফুলকপি পাঁচ থেকে ১০ টাকায় নেমে আসার কথা। কিন্তু বাজারে যেন আগুন লেগে রয়েছে।’
মানিকনগর বাজার (পুকুর পাড়) ঘুরে দেখা যায়, বেগুন ৫০ থেকে ৬০, করলা ১০০ থেকে ১২০, টমেটো ১০০ থেকে ১২০, কাঁচা টমেটো ৭০ থেকে ৮০, শিম ১০০, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, নতুন আলু ১০০, পুরনো আলু ৩০, শসা ১০০ থেকে ১২০, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গাজর ১২০, শালগম ৮০, পেঁপে ৩০, বরবটি ৬০, লাল বরবটি ৯০, চিচিঙ্গা ৮০, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০, ধুন্দল ৬০ ও কচুরমুখী ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লাউ ৫০,চালকুমড়া ৫০, বাঁধাকপি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া আদা ১৬০ থেকে ১৮০, রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরু ও খাসির মাংস আগের দাম মতোই রয়েছে। গরু সাড়ে ৫০০ টাকা, খাসি সাড়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগি ও পাকিস্তানি ককের দাম। ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।