৩০ মের মধ্যে রাজধানীর ছয় এলাকার ঝুলন্ত তার অপসারণের নির্দেশ

বিদ্যুৎরাজধানীর ছয়টি এলাকার ঝুলন্ত তার অপসারণ না করলে ৩০ মের পর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। ইন্টারনেট এবং ডিশ লাইন সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই নির্দেশনা দিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঢাকা শহরে আর কোন ঝুঁলন্ত তার থাকবে না। প্রথমে ছয়টি এলাকা হলেও পরবর্তীতে ঢাকার অন্য এলাকা থেকেও ঝুলন্ত তার অপসারণ করা হবে।’

এলাকাগুলো হলো- মহাখালী ডিওএইচএস, গুলশান সোসাইটি, নিকেতন সোসাইটি,  মতিঝিল, বনানী ও কাওরানবাজার।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সিসি ক্যামেরার তার সরিয়ে নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কেও চিঠি দেবে বিদ্যুৎ বিভাগ।

প্রতিমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, ‘এই পাঁচটি জোনে আগামী ৩০ মের মধ্যে ঝুলন্ত তার অপসারণ করতে হবে। বিতরণ সংস্থাগুলোকে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আগামী ১ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কমিটি আরও ৫টি জোন নির্ধারণ করবেন। যেখান থেকে দ্রুত ঝুলন্ত তার অপসারণ করা হবে। এ সময় তিনি দ্রুত কাজ করে ঢাকা শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে সকলের সহায়তা চান।

সভায় অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব  আবুল মনসুর, বিতরণ সংস্থাগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, স্থাপত্য অধিদফতর, ঢাকা সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ), নগর উন্নয়ন অধিদফতর, আইএসপিএবি, সামিট কমিউনিকেশন, ফাইবার এট হোম, সাইবার ক্যাফে ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমিউনিকেশন (ডিওটি) এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘বিদ্যুতের পোলে বিভিন্ন সংস্থার ঝুলন্ত তার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। শহরের সৌন্দর্য্য হানি ঘটাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প- ২০৪১ অনুসারে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে। দেশের শহরগুলো উন্নত দেশের মতোই হতে হবে। তাই দ্রুত ওবারহেড তার ভূগর্ভস্থ করা প্রয়োজন।’

সভায় এনটিটিএন (ন্যাশন ওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব), বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল), রাজউকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা মতবিনিময় করেন। 

সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীনে যেখানে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল বসানোর কাজ হাতে নেওয়া হবে সেখানে অন্যান্য ওভারহেড ক্যাবল ওপারেটরকারী সংস্থা অথবা সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের ক্যাবলও একইসঙ্গে ভূগর্ভস্থকরণের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।