পেঁয়াজের মূল্য কেজিতে বেড়েছে ৬০ টাকা

পেঁয়াজএক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের মূল্য কেজিতে ৬০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়, ওই পেঁয়াজের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মানিকনগর ও শুক্রাবাদ বাজারে খোঁজ নিয়ে এই তথ্য জানা গেছে।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ৫০ টাকা। 

এ প্রসঙ্গে কাওরান বাজার এলাকার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বাহরুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুদিন পরই পেঁয়াজের সরবরাহ কমে আসবে। কারণ, এখন পেঁয়াজের মৌসুম। সরবরাহ বেশি। তবু পেঁয়াজের মূল্য বাড়তি।’

পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। মানিকনগর এলাকার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া মোল্লা বলেন, ‘ধারণা করেছিলাম, আজ দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিতে পাবো। কিন্তু বাজারে গিয়ে হতাশ হতে হয়েছে। তিনি বলেন, এখনও ১৫০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনতে হয়, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।

এদিকে টিসিবির হিসাবে, গত এক বছরে দেশি পেয়াজের মূল্য বেড়েছে ৫০০ শতাংশ। ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি যে পেঁয়াজের মূল্য ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে আমদানি (তুরস্কের) পেঁয়াজের মূল্যও বেড়েছে। গত সপ্তাহে আমদানি করা যে পেঁয়াজ ৬০-৮০ টাকায় পাওয়া যেতো, সেই পেঁয়াজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়। টিসিবির হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ৪২৫ শতাংশ।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুধু যে পেঁয়াজের বাজার গরম, তা নয়, চাল, ডাল, রসুন, এলাচ, শুকনো মরিচ ও চিনির মূল্য বেড়েছে। গত সপ্তাহে সরু চালের মূল্য ছিল কেজিতে ৫২ টাকা। এখন সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায়। একইভাবে ৫২ টাকা কেজি সাধারণ মানের মিনিকেট ও নাজির চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা কেজি দরে।

গত সপ্তাহে যে ডাল (বড় দানা) ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সে ডাল ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যে ডাল (মাঝারি) ৮০ টাকায় পাওয়া যেতো, আজ সেই ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহের ব্যবাধানে শুকনো মরিচের মূল্য কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি শুকনো মরিচের মূল্য ছিল ২২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা। এখন সেই শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকায়। একইভাবে চিনির মূল্য বেড়েছে কেজিতে ২ টাকা। ৬০ টাকা কেজি দরের চিনি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকায়।গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক কেজি এলাচের মূল্য বেড়েছে ৫০০ টাকা। তবে, ভোজ্যতেলের মূল্য কেজিতে কমেছে ১ থেকে ২ টাকা।

সবজির বাজারেও বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বেশ চড়া। গত সপ্তাহের মতোই শসা, বেগুন, পেঁপে, গাজর, শিম, করলা, দেশি পাকা টমেটো ৪০-৬০ টাকা,  মুলা ২০-২৫ টাকা, নতুন গোল আলু ২৫-৩০ টাকা, শালগম ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকায়।