সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হানের আট দফা সুপারিশ হলো:
১. দুই বছর মেয়াদী পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হবে, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আসা।
২. অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাস্তবায়নের প্রারম্ভিক সময় দুই বছর পিছিয়ে ২০২২ সালে নিয়ে যেতে হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নতুনভাবে প্রণয়ন করতে হবে, কারণ পরিকল্পনার একটি বড় অংশ করোনার কারণে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে।
৩. তৈরি পোশাক খাতসহ অন্যান্য রফতানিমুখী শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাজারনির্ভর খাত এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) খাতে সহায়তা প্রদানের জন্য রাজস্ব উদ্দীপক (ফিসক্যাল স্টিমুলাস) প্যাকেজ ও মুদ্রাবিষয়ক নীতি প্রণয়ন করতে হবে।
৪. দরিদ্র, অতিদরিদ্র, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও বর্তমান পরিস্থিতি আকস্মিকভাবে অসহায় হয়ে পড়া মানুষদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করতে হবে।
৫. বাণিজ্য, কর কাঠামো ও ব্যাংক খাতে ‘রাজনৈতিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য’ কিছু নীতি সংশোধন (পলিসি রিফর্ম) করতে হবে।
৬. রাজস্ব উদ্দীপনা (সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি ও কর কমানো) বাস্তবায়ন এবং মুদ্রাবিষয়ক নীতিকে সহজ করার জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের উপায় খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
৭. কমপক্ষে তিন বছরের জন্য স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি ) তালিকা থেকে উত্তরণের সময়কাল বিলম্বিত করতে হবে।
৮. টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সময়কাল ২০৩০ সাল থেকে বৃদ্ধি করে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।