প্রতি বৃহস্পতিবার ৩ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকবে সঞ্চয় অধিদফতর




জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের অফিসগুলো সপ্তাহের একদিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত (তিন ঘণ্টা) অফিসগুলো খোলা থাকবে। যেসব গ্রাহক অনলাইনের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র কিনেছিলেন কিন্তু তাদের অনেকেই মুনাফা পাচ্ছিলেন না, তাদের স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সঞ্চয় অধিদফতর। বুধবার (১৫ এপ্রিল) সঞ্চয় অধিদফতর এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে, যা বিভাগীয় ও জেলা অফিসগুলোকে জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সঞ্চয় অধিদফতরের মহাপরিচালক সামছুন্নাহার বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।



তবে যে সমস্ত গ্রাহক কাগজে-কলমে (ম্যানুয়াল) সঞ্চয়পত্র কিনেছেন তারা কীভাবে মুনাফা নেবেন বা পাবেন সে বিষয়ে আদেশে কিছুই বলা হয়নি।

সঞ্চয় অধিদফতরের পরিচালক মুহাম্মদ এনাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে ইস্যুকৃত সঞ্চয়পত্রের মুনাফা প্রদান এবং এ সংক্রান্ত কাজ করার জন্য জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের আওতাধীন সব জেলা সঞ্চয় ব্যুরো ও জাতীয় সঞ্চয় বিশেষ ব্যুরোগুলো প্রতি বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টার জন্য খোলা রাখা হবে। জাতীয় সঞ্চয় বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালকগণ বিষয়টি মনিটরিং করবেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর আগে ছুটি বিষয়ক যে নির্দেশনা দিয়েছে, তা অনুসরণ করে অফিসে আসা-যাওয়া করতে হবে এবং অফিসে অবস্থান করতে হবে। এ সময় তাদের সতর্কতা ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাও নিতে হবে। দায়িত্ব পালনকালে যাতায়াতের সময় কর্মচারীদের পরিচয়পত্র ও এই আদেশের কপি সঙ্গে রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, যে সব গ্রাহক ২০১৯ সালের ১ জুলাইয়ের পর থেকে অনলাইনে সঞ্চয়পত্র কিনেছেন তারাই কেবল সপ্তাহে একদিন বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টার জন্য এ সুবিধা পাবেন। তবে যে সমস্ত গ্রাহক কাগজে-কলমে (ম্যানুয়াল) সঞ্চয়পত্র কিনেছেন তারা কীভাবে মুনাফা নেবেন বা পাবেন সে বিষয়ে আদেশে কিছুই বলা হয়নি। করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি থাকায় সঞ্চয় অধিদফতরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অফিসে না আসায় গ্রাহকরা তাদের মুনাফা তুলতে পারছিলেন না। অসুবিধায় পড়া গ্রাহকদের সুবিধার্থে সঞ্চয় অধিদফতর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর থেকে যে সব সঞ্চয়পত্র ইস্যু করে সেগুলো হচ্ছে- পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্র।