বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম্স ডিপার্টমেন্ট এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে। নির্দেশনার চিঠি এমএফএস সেবা প্রদানকারী সব ব্যাংক ও তাদের প্রোভাইডার এবং ডাক অধিদফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, করোনাভাইরাসের কারণে ৫০ লাখ দুস্থ পরিবারের জন্য নগদ সহায়তা সরাসরি সুবিধাভোগীর মোবাইল হিসাবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ কারণে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নগদ সহায়তা প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত সুবিধাভোগীর তালিকা মোতাবেক জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর (এনআইডি) যাচাই করে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি নগদ সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এজেন্ট পয়েন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ নগদ অর্থের সরবরাহ নিশ্চিত করারও নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তালিকায় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোল্ট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষকে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে মে ও জুন- এই দুই মাস ৫০ লাখ পরিবার আড়াই হাজার টাকা করে পাঁচ হাজার টাকা পাবে। এ কাজে সহযোগিতা করছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সেবাদানকারী চার প্রতিষ্ঠান।
ইতোমধ্যে সহায়তার এক হাজার ২৫৭ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সহায়তার এ অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনা খরচে প্রত্যেক পরিবারের হাতে ঈদের আগে পৌঁছে দেওয়া হবে।