জন্মতারিখ ঠিক নাই অর্থমন্ত্রীর

আবুল মাল আবদুল মুহিতনিজের জন্মতারিখ ঠিক নাই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রীর প্রকৃত জন্মতারিখ ১৯২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি হলেও সার্টিফিকেটে নাকি তার জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ১ জুন। এ নিয়ে তার আক্ষেপ থাকলেও কোনও অভিযোগ নাই কারও বিরুদ্ধে।

তিনি ছোটবেলার স্মৃতি রোমান্থন করে বলেছেন, আমাদের জন্মের সময় তারিখ লিখে রাখার রেওয়াজ ছিল না। বড়রা আমাদের ধরে স্কুলে নিয়ে গেছেন আর হেড স্যার ভর্তি করিয়ে নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় স্কুলের কেরানি স্যার যে একটা জন্ম তারিখ লিখে দিয়েছেন, ব্যাস হয়ে গেছে। তাই দিয়েই চলছে। আবার কোনও কোনও ফরমে জন্ম তারিখের কথাই ছিল না। কোথাও হয়তো আনুমান করেও  একটা বয়স লিখে দিলেই চলতো।

বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে বেতন ও পেনশনের টাকা উত্তলনের সময় সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরাজমান হয়রানি ও জটিলতা দূর করতে অর্থমন্ত্রণালয় অনলাইন পদ্ধতি প্রবর্তন করেছে। এ সময় অর্থমন্ত্রী নতুন এ পদ্ধতির সুবিধাগুলো ব্যাখ্যা করার সময় এ সব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী ধারণা করে বলেছেন, বয়স্ক লোকদের কারোরই হয়তো জন্ম তারিখ ঠিক নেই। তাদের সবারই জন্ম তারিখ একেক জায়গায় একেক রকম বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এখন থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনলাইনে প্রবেশ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর টিপেই যে কোনও পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী তার বেতন ও পেনশনের টাকার পরিমাণ ও উত্তলনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সহজেই জানতে পারবেন।

অনেকের জাতীয় পরিচয়ত্রে নম্বর, জন্ম তারিখ, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানাসহ বিভিন্ন ধরনের ভুল-ভ্রান্তি রয়েছে। এ ছাড়া অনেক কর্মকর্তার সার্টিফিকেট ও জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লেখিত তারিখের মধ্যে গরমিল রয়েছে। এ সব জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অনলাইনে প্রবেশ করে বেতন ও পেনশনের অর্থ নিরূপণ ও উত্তোলন করা যাবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বয়স নিয়ে ওপরে উল্লেখিত গল্প করেন।

এ জন্য অর্থমন্ত্রী কোনও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ভুল থাকলে তা সংশোধন করে নেওয়ারও পরামর্শ দেন।

/এসআই/এফএইচ/