নির্ধারণ করে দেওয়া হলো অফশোর ব্যাংকিংয়ের তলবি-মেয়াদি দায়

বাংলাদেশ ব্যাংকবৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে গঠিত অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য ব্যাংকগুলোর তলবি ও মেয়াদি দায় নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের (শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকসহ) মোট তলবি ও মেয়াদি দায় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদ জমা রাখার বিধান রয়েছে। ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য তার পরিমাণ ওই আদেশে দেওয়া ক্ষমতাবলে দ্বি-সাপ্তাহিক গড় ভিত্তিতে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের ন্যূনতম ২ শতাংশ এবং দৈনিক ভিত্তিতে ন্যূনতম ১ দশমিক ৫ শতাংশে নির্ধারণ করা হলো।’

এর আগে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের নগদ জমা অনুপাত (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ তরল অনুপাত (এসএলআর) সংরক্ষণের নীতিমালা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রচলিত ব্যাংকের মতো এসব ইউনিটকেও সাড়ে ৫ শতাংশ হারে নগদ এবং বিভিন্ন উপাদানের বিপরীতে ১৩ শতাংশ হারে রাখতে হবে। ব্যাংকগুলো চাইলে বৈদেশিক বা স্থানীয় মুদ্রায় তা সংরক্ষণ করতে পারবে।

জানা যায়, ১৯৮৫ সাল থেকে অফশোর ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এতদিন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়াই কার্যক্রম চললেও গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক; যেখানে ব্যাংকের আভ্যন্তরীণ কার্যক্রমের মতো অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটকেও সিআরআর, এসএলআর সংরক্ষণসহ কার্যক্রম পরিচালনার বিভিন্ন গণ্ডি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।