ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান আর নেই

লতিফুর রহমানবিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান (৭৪) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। বেশ কিছুদিন থেকেই বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বুধবার (১ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এশার নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

ট্রান্সকম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার ফয়সাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'লতিফুর রহমান অসুস্থ ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের গ্রামের বাড়িতে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। সন্ধ্যার দিকে তার মরদেহ ঢাকায় আনা হবে।'

লতিফুর রহমান এমন দিনে মারা গেলেন, যেদিন তার নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী। ফারাজ হোসেন ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত হন।

আমৃত্যু ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন লতিফুর রহমান। ব্যবসা ক্ষেত্রে নৈতিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১২ সালে বিজনেস ফর পিস অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার পান। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা দুটি প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

জানা যায়, ১৯৪৫ সালে ভারতের জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন লতিফুর রহমান। পরবর্তীতে বাস করতেন পুরান ঢাকা গেন্ডারিয়ায়। তার স্ত্রীর নাম শাহনাজ রহমান। এই দম্পতির এক ছেলে আর দুই মেয়ে।

সদ্য প্রয়াত এই বিজনেস টাইকুনের ট্রান্সকম গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক পণ্য, ওষুধ, সংবাদপত্র, চা শিল্প, বিমা ইত্যাদি। ট্রান্সকম গ্রুপের যাত্রা শুরু চা চাষের মাধ্যমে, যেটি এখন বাংলাদেশের অন্যতম একটি বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া লতিফুর রহমান নেসলে বাংলাদেশ, হোলসিম বাংলাদেশ এবং ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স ও ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান। তিনি লিন্ডে বাংলাদেশ এবং এনজিও ব্র্যাকের গভর্নিং বোর্ডের পরিচালক। তিনি আইসিসি বাংলাদেশের সহ-সভাপতি। বাংলাদেশের বাজারে আন্তর্জাতিক ফাস্টফুড চেইন পিৎজা হাট ও কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন (কেএফসি) প্রচলনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করেন লতিফুর রহমান।