তবে বিজিএমইএ’র তথ্য বলছে, আগের চেয়ে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। মে মাসের তুলনায় জুনে রফতানি বেড়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে বিজিএমইএ এসব তথ্য জানায়। তথ্য অনুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে পোশাক খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্য ছিল সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার। কিন্তু করোনা মহামারি সব হিসাব-নিকাশ বদলে দিয়েছে। শুধু এপ্রিল মাসেই আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় রফতানি কমে ২২০ কোটি ডলারের মতো। ২০১৯ সালের এপ্রিলে যেখানে রফতানি হয়েছিল ২৫৪ কোটি ডলারের পণ্য, সেখানে ২০২০ সালের এপ্রিলে রফতানি হয় মাত্র ৩৭ কোটি ডলারের পণ্য।
তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লকডাউন তুলে দেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তাই পোশাক রফতানিও মে ও জুন মাসে বেড়েছে। মে মাসে পোশাক রফতানিতে আয় হয়েছে ১২৩ কোটি ডলার। আর জুনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২১২ কোটি ডলারে।
বিজিএমইএ জানায়, করোনার কারণে প্রায় সোয়া তিনশ’ কোটি ডলরের রফতানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। এসব কারণে কম পুঁজির কিছু কারখানা ইতোমধ্যে বন্ধও হয়ে গেছে।
পোশাক কারখানার মালিকদের বক্তব্য হলো জুনে যেসব পণ্য রফতানি হয়েছে, সেগুলো আগের অর্ডারের। নতুন করে ক্রেতারা অর্ডার দিচ্ছে না।