ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, ‘বাজারে গতি আনতে হলে একদিকে বাজারে সুশাসন কায়েম করতে হবে। অন্যদিকে কালো টাকা বিনিয়োগে এক বছরের শর্ত তুলে দিতে হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, শর্ত তুলে দিলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়বে। বাজারেও স্বস্তি অব্যাহত থাকবে।
তথ্য বলছে, দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসই-তে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে দাম কমেছে ২২টির। আর ১৯৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ১১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ২২৫ কোটি টাকা।
এছাড়া, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৭৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ১৭ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। তার আগের সপ্তাহে বেড়েছিল ৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ টানা তিন সপ্তাহ ধরে প্রধান মূল্য সূচক অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে।
শেয়ারবাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রধান সূচকের পাশাপাশি টানা তিন সপ্তাহ বেড়েছে ডিএসই’র বাকি দুটি সূচকও। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৮৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৮৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৬৪৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বা ৭৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৯৪০ কোটি ৫৬১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩ হাজার ৩৩৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ২ হাজার ৩৯৩ কোটি ৫২০ লাখ টাকা।
প্রসঙ্গত, আগের সপ্তাহে লেনদেন উল্লম্ফন হওয়ার প্রধান কারণ ডিএসই’র ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের এক কোটি ৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৪৪টি শেয়ার লেনদেন হয়, যার মূল্য ২ হাজার ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রামীণফোন, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, ওয়াটা কেমিক্যাল, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো এবং এক্সিম ব্যাংক।