ভোক্তা ঋণে প্রভিশন কমালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

ভোক্তা ঋণের বিপরীতে সাধারণ নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা  ‘প্রভিশন’ সংরক্ষণের হার তিন শতাংশ কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ১০০ টাকা ভোক্তা ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে দুই টাকা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এতদিন ১০০ টাকা ভোক্তা ঋণ দিলে এর বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বাবদ ব্যাংকগুলোকে ৫ টাকা সংরক্ষণ করতে হতো। এতে করে ব্যাংকগুলো ভোক্তা ঋণ বিতরণে আগ্রহী হবে।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, আগে ব্যাংকগুলো সবধরনের ভোক্তা ঋণের বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতো। ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে করতো দুই শতাংশ। এখন থেকে ২ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। তবে বাড়ি নির্মাণ ঋণের বিপরীতে আগের মতোই এক শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ব্যাংকগুলোর বৈঠকে ব্যাংকের নির্বাহীরা সবধরনের ভোক্তা ঋণের বিপরীতে ২ শতাংশ প্রভিশন নির্ধারণ করার দাবি করেন। এরই আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশনা জারি করেছে।

জানা গেছে, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের যে ঋণ দেয়, তার বেশিরভাগই আমানতকারীদের অর্থ। এ অর্থ যেন কোনও প্রকার ঝুঁকির মুখে না পড়ে, সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে। এর একটি হলো প্রভিশন সংরক্ষণ।

নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকের অশ্রেণিকৃত বা নিয়মিত ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ থেকে পাঁচ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। নিম্নমান বা সাব স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কুঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। ব্যাংকের আয় খাত থেকে অর্থ এনে এ প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয়।