আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় চলে যাচ্ছে

এনবিআরনভেম্বর মাস আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার মাস। চলতি করবর্ষের নিয়মিত আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ সময় আগামী ৩০ নভেম্বর। আর মাত্র বাকি আছে ২২ দিন। করোনা সংক্রমণ এড়াতে আয়কর মেলা হবে না। ফলে এবার সার্কেল অফিসে গিয়ে সবাইকে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। যাদের বার্ষিক আয় চার লাখ টাকার কম এবং ৪০ লাখ টাকার কম সম্পদ থাকলে তার জন্য এক পৃষ্ঠার ফরম পূরণ করেই রিটার্ন জমা দেওয়া সুযোগ করে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। তবে সিটি করপোরেশন এলাকায় ফ্ল্যাট, বাড়ি কিংবা গাড়ির মালিকরা এই সুবিধা পাবেন না। তাদেরকে পুরনো ফরমেই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে।
কেবলমাত্র স্বল্প আয়ের ও কম সম্পদওয়ালা ব্যক্তির জন্য প্রথমবারের মতো এক পৃষ্ঠার ফরম চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এই এক পৃষ্ঠার ফরম পূরণ করে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিলেই চলবে। খুব বেশি তথ্য দিতে হবে না। এক পৃষ্ঠার ফরমে করদাতার ছবি, নাম, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন), কর অঞ্চল ও সার্কেল, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে। এ ছাড়া করযোগ্য আয়ের পরিমাণ ও করের পরিমাণ লিখতে হবে। লিখতে হবে সম্পদের পরিমাণ ও আয়ের উৎস। এ ছাড়া আপনি যে ব্যাংক ও চালানের মাধ্যমে কর দিচ্ছেন, তার নম্বর দিতে হবে।
তবে যুক্তিসংগত কারণ দেখিয়ে রাজস্ব কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে ৩০ নভেম্বরের পরও রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে, এ জন্য করদাতাকে গুনতে হবে বাড়তি অর্থ। এক্ষেত্রে করদাতাকে সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলের উপকর কমিশনার বরাবর আবেদন করতে হবে।
গত জুন মাসে বাজেট ঘোষণার সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল স্বল্প আয়ের করদাতাদের জন্য এক পৃষ্ঠার ফরমের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর কিছুদিন পরেই এক পৃষ্ঠার ফরম প্রকাশ করে এনবিআর।
আয়কর বিবরণীয়র সনাতনী বিশাল ফরমের কারণে অনেকে কর দিতে চান না। ফরম পূরণও বেশ জটিল। তাই নতুন এক পৃষ্ঠার ফরম প্রবর্তন হওয়ায় স্বল্প আয়ের করদাতাদের জন্য সুবিধা হলো। দীর্ঘদিন ধরেই রিটার্ন ফরম সহজ করার জন্য দাবি করে আসছিলেন করদাতারা।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৫ লাখের বেশি কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। প্রতিবছর ২২ থেকে ২৩ লাখ টিআইএনধারী রিটার্ন দেন। চলতি বছর থেকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে সব টিআইএনধারীর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ।