সরকার নির্ধারিত অবসর সুবিধা চান গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক কর্মীরা

গ্রামীণ ব্যাংকসরকার নির্ধারিত অবসর সুবিধা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক কর্মীরা। রবিবার (২২ নভেম্বর) মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে গ্রামীণ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি।

মানববন্ধনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলমাস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জালালউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টা মাহবুবুল হকসহ ৬৪ জেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলমাস উদ্দিন বলেন, ‘যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিশ্রমে এই নোবেল অর্জিত হয়েছে, সেসব বীরেরা আজ রিকশা চালাচ্ছে, অটো চালাচ্ছে। সরকারি অন্যান্য বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে পেনশন সুবিধা কার্যকর হলেও গ্রামীণ ব্যাংকে তা এখনও চালু করা হয়নি।’  পেনশন সুবিধা কার্যকর করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের ১২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিভিন্ন ভাতা পরিশোধ না করায় বর্তমানে তারা মানবেতর দিন যাপন করছেন। তাই আমাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাতা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠানে অশান্তির দাবানল জ্বলে উঠবে।’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জালালউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা প্রদান করতে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরের নির্দেশনা থাকলেও গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে। অবিলম্বে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে গ্রামীণ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করা না হলে যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায় তাদেরই বহন করতে হবে।’

 মানববন্ধনে অংশ নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, সরকার ঘোষিত আর্থিক সুবিধা প্রদান না করে সময়ক্ষেপণ করছে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

তারা বলেন, সরকারি নির্দেশনা গ্রামীণ ব্যাংকে বাস্তবায়ন না করলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে অবসরকালীন সুবিধা আদায়ে বাধ্য করা হবে।  মানববন্ধন থেকে জানানো হয়, দাবি আদায় না হলে অচিরেই রাজপথে বড় কর্মসূচি দেবে ‘গ্রামীণ ব্যাংক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি’।

উল্লেখ্য, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অবসর নেওয়া জীবিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন প্রায় দুই হাজার কর্মী।