আড়াই বছরেও গ্রাহকরা নেট মিটারিং সুবিধা তেমন পাননি: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২৮ জুলাই ২০১৮ তারিখে নেট মিটারিং নির্দেশিকা ২০১৮ উদ্বোধন করা হয়েছিল। কিন্তু গ্রাহকরা এর সুবিধা তেমন পাননি বললেই চলে। কারিগরি ও পরামর্শ সহযোগিতা পেলে গ্রাহকরা নেট মিটারিং পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহিত হবেন। আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী নেট মিটারিং রুফটপ সোলার নিয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। রুফটপ সোলার কর্মসূচির প্রসারে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রয়োজন। 

প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) অনলাইনে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) আয়োজিত নেট মিটারিং রুফটপ সোলার নিয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর ৩৬১ কর্মকর্তা নিয়ে প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।

একটি সুনির্দিষ্ট টার্গেট নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিব বর্ষে কতজন গ্রাহক বা কত মেগাওয়াট নেট মিটারিং সিস্টেমের আওতাভুক্ত হবে তার পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক। আজ যারা প্রশিক্ষণ নিলেন তাদেরও নিজ নিজ এলাকায় নেট মিটারিং রুফটপ সোলার কর্মসূচির প্রসারে কাজ করা উচিত।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড জেনারেশনকে উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে নেট মিটারিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নেট মিটারিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ গ্রাহক নিজ স্থাপনায় স্থাপিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক সিস্টেমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিজে ব্যবহার করে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ বিতরণ গ্রিডে সরবরাহ করেন। এভাবে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল পরবর্তী মাসের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। এ প্রক্রিয়ার ফলে গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হয়।