রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলো

ডিসেম্বর মাসে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতনি করে বাংলাদেশ ৩২০ কোটি ৪০ লাখ ডলার আয় করেছে। ২০১৫ সালের শেষ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি রফতনি আয় দেশে এসেছে। এই অংক চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।  আগের বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে বেড়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।  আমদানি রফতানি
আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) পণ্য রফতানি থেকে বাংলাদেশ মোট এক হাজার ৬০৮ কোটি ৪০ লাখ (১৬ দশমিক ০৮ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরের চেয়ে প্রায় ৮ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি)  রফতানি আয়ের হালনাগাদ তথ্যে দেখা  গেছে, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এক হাজার ৫৮৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বাংলাদেশ এক হাজার ৬০৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। গত অর্থবছরের এই ছয় মাসে পণ্য রফতানি থেকে আয় হয়েছিল এক হাজার ৪৯১ কোটি ৪২ ডলার। এই হিসেবে ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি আয় দেশে এসেছে। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে; ৬৭০ কোটি ৩৫ লাখ ডলার এবং নিট পোশাক থেকে এসেছে ৬৪৩ কোটি ২০ লাখ ডলার।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই সময়ে নিট পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ১১ শতাংশ। ওভেনে প্রবৃদ্ধি আরও বেশি, ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ। নিট পোশাক রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। ওভেনের আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ৩৫ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা  গেছে, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি কমেছে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। হিমায়িত খাদ্য রফতানি কমেছে ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ। কৃষি পণ্য কমেছে ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি কমেছে ২ দশমিক ০৫ শতাংশ। তবে ওষুধ রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ২২ শতাংশ।

 /জিএম/ এএইচ /আপ-এমআর/