বন্দর থেকে আমদানি পণ্য ডেলিভারি নিতে চায় বিজিএমইএ

সময় ও খরচ কমাতে আইসিডি থেকে না নিয়ে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যের কন্টেইনার ডেলিভারি নিতে চায় বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। গত ২০ এপ্রিল এনবিআরের চেয়ারম্যানকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে বিজিএমইএ।

চিঠিতে আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার বন্দরের ইয়ার্ড থেকে ডেলিভারির অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আইসিডি থেকে ডেলিভারি নিলে ৬/৭ দিন অতিরিক্ত সময় লাগবে। এতে ব্যবসায়ীরা খরচ ও সময়- উভয় দিকেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের মতো এবারও সকল ধরনের আমদানি পণ্য বেসরকারি আইসিডিতে সরিয়ে নিলে চরম সংকট সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ'র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বন্দর থেকে আমদানি পণ্যের কন্টেইনার ডেলিভারি নিতে সময় লাগে মাত্র ২ দিন। আর আইসিডি থেকে ডেলিভারি নিতে লেগে যায় ৬ থেকে ৭ দিন। তাছাড়া আইসিডির মাশুল চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়া অতিরিক্ত চার্জ প্রদান করে প্রাইভেট আইসিডি থেকে মালামাল খালাস করা বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে সম্ভব নয়। তার মতে বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট নেই। ফলে আমদানি পণ্যের কন্টেইনার আইসিডিতে স্থানান্তরের কোনও যৌক্তিকতা নেই।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার জট কমাতে ১৯টি বেসরকারি আইসিডির অনুমোদন দেয় সরকার। এসব আইসিডির ধারণক্ষমতা ৬৫ হাজার টিইইউ'স। খাদ্যপণ্যসহ ৩৮ ধরনের আমদানি পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হয় আইসিডি থেকে। এছাড়া জাহাজীকরণের উদ্দেশ্যে শতভাগ রফতানি পণ্য কন্টেইনার ভর্তি করা হয় আইসিডি থেকে।

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) তথ্যমতে, বেসরকারি আইসিডি থেকে ডেলিভারি দিলে ২০ ফুট সাইজের একটি কন্টেইনারে অতিরিক্ত ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা বেশি খরচ করতে হয় আমদানিকারককে। বেসরকারি আইসিডির চার্জ ১২ শতাংশ বৃদ্ধি হওয়ায় এমনিতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

পোশাক শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সময়ক্ষেপণ রোধ ও অতিরিক্ত চার্জ প্রদান ব্যতীত আমদানিকৃত পণ্য চালান চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি খালাস অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই চিঠিতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।