জরিপ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাস কমেছে

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাস কমেছে। ‘কোভিড-১৯ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের আত্মবিশ্বাস’ শীর্ষক এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথভাবে জরিপটি পরিচালনা করেছে।

রবিবার (২ মে) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এক জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সেলিম রায়হান।

তিনি উল্লেখ করেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পরিচালিত তৃতীয় পর্যায়ের জরিপের তুলনায় চতুর্থ জরিপে ব্যবসায়ীদের আস্থা কমেছে।

সেলিম রায়হান বলেন, ২০২০ সালের জুলাই মাসে পরিচালিত জরিপে বিজনেস কনফিডেন্স ইনডেক্স বা ব্যবসার আস্থা সূচকের মান ছিল ৫১ দশমিক ০৬, অক্টোবর মাসে পরিচালিত জরিপে এই সূচক ছিল ৫৫ দশমিক ২৪। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে এই সূচক ছিল ৫৭ দশমিক ৯০। এপ্রিল মাসে পরিচালিত চতুর্থ পর্যায়ের জরিপে এই সূচক দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৩৯।

জরিপের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাস কমছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৩৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান মার্চ মাসে বলছে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শক্তিশালী হবে। ১৪ শতাংশ বলেছে, পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া দুর্বল। ৫২ শতাংশ বলেছে, পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া মাঝারি গোছের। কিন্তু মার্চ মাসে দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর দৃশ্যপট বদলে যায়। মাত্র ২ শতাংশ মনে করছে, পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শক্তিশালী হবে। ৬৮ শতাংশ মনে করছে, পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া গতি হারাবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, শ্রমঘন শিল্প বলেই যে তৈরি পোশাক খাত বেশি প্রণোদনা পায় তা নয়, তাদের কণ্ঠস্বর অত্যন্ত জোরালো বলেই অন্যদের তুলনায় বেশি প্রণোদনা পায় তারা। অথচ কুটির ও ছোট শিল্প আরও শ্রমঘন হলেও সরকারি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। কণ্ঠস্বর অতটা সবল না হওয়ার কারণে এরা পিছিয়ে আছে।