সাত জেলায় লকডাউন, গার্মেন্টস কারখানা খোলা নিয়ে ধোঁয়াশা

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার আশপাশের সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে লকডাউনের মধ্যে এসব এলাকার রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা চালু থাকবে— তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা এমনটিই মনে করলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি উল্লেখ নেই। এ কারণে এখনও গার্মেন্টস কারখানা খোলা রাখা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

সোমবার  (২১ জুন) বিকালে  বিজিএমই’র  সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম— তৈরি পোশাক খাত লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা সার্কুলারে গার্মেন্টস কারখানা খোলা রাখার বিষয়টি না থাকায় আমরা সরকারের সঙ্গে এখন আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছি।’ কিছুক্ষণের মধ্যেই কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাবেন বলে জানান ফারুক হাসান।

তিনি আশা করেন, সাত জেলা লকডাউনের আওতায় সবকিছু বন্ধ থাকলেও  পোশাক কারখানা খোলা রাখা যাবে।

এদিকে বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হলেও গার্মেন্টস কারখানা খোলা থাকবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ক্যাবিনেট সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব তাকে জানিয়েছেন, গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ রাখার জন্য কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ফলে তৈরি পোশাক খাতের কারখানা খোলা থাকবে।

এর আগে সোমবার (২১ জুন) বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে দেশের ৭ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন (বুধবার) রাত ১২টা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। এই ৯ দিন এসব জেলা একরকম ‘ব্লকড’ থাকবে।

জেলাগুলো হলো— মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ। এসব জেলায় ৩০ জুন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। গণপরিবহন চলাচল করবে না। বাজার-শপিংমল বন্ধ থাকবে। সরকারি-বেসরকারি অফিসও বন্ধ থাকবে (জরুরি সরকারি অফিস ছাড়া)। এই লকডাউনের সময় কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিবহন এবং জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত পরিবহন চলাচল করতে পারবে।