‘সারাদেশে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে হবে’

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক ও সীমান্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, সারাদেশে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে হবে। শুরুতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে এই সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি। উন্নত গ্রাহকসেবা এবং সময়োপযোগী বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে সীমান্ত ব্যাংক সামনে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান বিজিবির মহাপরিচালক।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেডের ১৯তম শাখা হিসেবে গুলশান শাখার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক ও সীমান্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুখলেসুর রহমান।


বিজিবির পক্ষ থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় সীমান্ত ব্যাংক রিটেইল ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন সেবা দিচ্ছে। যেমন- পার্সোনাল লোন, হোমলোন, কারলোন, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের জন্য এস.এম.ই লোন, কৃষকদের জন্য জামানতবিহীন কৃষিঋণ, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জামানতবিহীন ‘নারীশক্তি’ ঋণ, শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষা উপকরণের জন্য প্রযুক্তি ঋণসহ নানা ধরনের সেবা চালু করেছে।

এ ছাড়া সীমান্ত ব্যাংক ইতোমধ্যে ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, আরটিজিএস, বিএফটিএন এবং রেমিটেন্স সেবাসহ নানা রকম আধুনিক সেবাও চালু করেছে।

২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সীমান্ত ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই বছরের ৯ অক্টোবর ধানমন্ডির পিলখানায় প্রধান শাখার মাধ্যমে সীমান্ত ব্যাংক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। রাজধানীতে এটি সীমান্ত ব্যাংকের ৫ম শাখা। ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সাতকানিয়া, বেনাপোল, লালমনিরহাট, বিবিরবাজার, সিডস্টোর (ভালুকা), কক্সবাজার, টেকনাফ, চম্পকনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), সিলেট ও প্রাগপুরে (কুষ্টিয়া), খুলনা, গদখালী (যশোর) সীমান্ত ব্যাংক ইতোমধ্যে শাখা স্থাপন করেছে। কক্সবাজারের রামু এবং খুলনায় ব্যাংকের আরও দুটি উপশাখা স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।