কনটেইনার ও ভেসেল সংকট নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপ চায় বিজিএমইএ

রফতানিকারক, শিপিং লাইনস এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডার কর্তৃক কনটেইনার ও ভেসেল সংকট নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) আয়োজিত এক সভায় বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, রফতানি পণ্য পরিবহনে কনটেইনার সংকট  এবং যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রগামী বড় জাহাজে চাহিদা অনুযায়ী বুকিং না মেলায় তৈরি পোশাক পণ্য সময়মতো জাহাজীকরণ করা যাচ্ছে না। ফলে প্রাইভেট আইসিডিগুলোতে কনটেইনারের জট সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে যথাসময়ে রফতানি পণ্য পাঠাতে না পেরে অনেকের রফতানি আদেশ বাতিল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

বিজিএমইএ অফিসে বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসানের সভাপতিত্বে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিটিটিএলএমইএ, বিজিএপিএমইএ, এলএফএমইএবি, বিকডা, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শিপিং লাইন, বাংলাদেশ কনটেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন ও বিএফএফএ এর মধ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

ফারুক হাসান বলেন, উপরোক্ত সংকটের কারণে বিজিএমইএ-এর অনেক সদস্য প্রতিষ্ঠানের রফতানি পণ্যের চালান আইসিডি’তে ১ মাস থেকে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত পড়ে থাকায় তারা রফতানি আয় পাননি। বিদেশি ক্রেতার কাছে পণ্য পাঠাতে এখন ২ থেকে ৪ সপ্তাহ অতিরিক্ত লাগছে। এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে বিশেষ ছাড় দিতে হতে পারে। এতে করে উদ্যোক্তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

তিনি বলেন, এমনিতেই কোভিড পরিস্থিতির কারণে পোশাক শিল্প কঠিন সংকটের মুখে রয়েছে। এ অবস্থায় ক্রেতাদের কাছে সময়মতো পণ্য পৌঁছানোতে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ায় উদ্যোক্তারা নতুন করে বিপাকে পড়েছেন। এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য তিনি উপস্থিত সংগঠনগুলোকে এক সঙ্গে কাজ করার আহবান জানান।