বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যেও সুসম্পর্ক চায় রাশিয়া

বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের প্রতিফলন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও দেখতে চায় রাশিয়া। বুধবার (২৬ অক্টোবর) এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্টিয়েভিচ মানতস্কি। সাক্ষাতে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি, কোভিড পরিস্থিতি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়।

এসময়  উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি  মো. আমিন হেলালী এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতস্কি বলেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় সহযোগী হতে পেরে রাশিয়া গর্বিত। তবে  দেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনার পুরোটা এখনও কাজে লাগানো যায়নি। এ সম্পর্ককে উন্নত করতে চায় দেশটি।

আগামী নভেম্বরে রাশিয়ার একজন বাণিজ্য প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করার কথা রয়েছে। সে সময় এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে একটি বাণিজ্য সভা আয়োজনের আশ্বাস দেন রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতস্কি।

এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি ব্যাংকিং সম্পর্ক না থাকা ও এলসি খোলার সুবিধা না থাকায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ছে না। তিনি বলেন, রাশিয়ার বিশাল বাজারে তৈরি পোশাক ছাড়াও হালকা প্রকৌশল পণ্য, প্লাস্টিক, ওষুধ, হিমায়িত খাদ্য-পণ্যসহ অসংখ্য পণ্য রফতানি করতে পারে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি সই করেছিল এফবিসিসিআই। পরে ২০০৬ সালে দি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অব রাশিয়ান ফেডারেশন এবং ২০১৯ এ ইউনিয়ন অব মস্কো চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি সই করে এফবিসিসিআই। অনেক দিন আগের করা এসব চুক্তিগুলোকে পর্যালোচনা করে যুগোপযোগী করতে একমত হন এফবিসিসিআই সভাপতি ও রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত। শিগগিরই দেশটির দূতাবাসে এ সংক্রান্ত তথ্য ও খসড়া পাঠাবে এফবিসিসিআই।

সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে রাশিয়ার বার্ষিক বাণিজ্যিক সম্মেলন সেইন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠানোর ব্যাপারে কথা বলেন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন।