‘বস্ত্র খাতের অংশীজনদের সহযোগিতায় সচেষ্ট রয়েছে সরকার’

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, ‘বস্ত্র খাতের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সব ধরনের সহযোগিতায় সচেষ্ট রয়েছে আমাদের মন্ত্রণালয়। একুশ শতক তথা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা তাদের পাশে থাকবো।’ শনিবার (৪ ডিসেম্বর) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব জানান তিনি। বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খবরটি রয়েছে।

মন্ত্রী উল্লেখ করেন, বস্ত্র খাতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে সরকারি পর্যায়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, তাঁত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট পরিচালিত হচ্ছে। বস্ত্র খাতে দক্ষ জনবলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এ ধরনের আরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য মসলিনকে বড় পরিসরে বাণিজ্যিক রূপদানের জন্য ঢাকাই মসলিন হাউজ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

গোলাম দস্তগীর গাজীর দাবি, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনার সুবাদে বস্ত্র খাতে জাতীয় রফতানির ধারাকে করোনার ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে। তিনি জানান, বস্ত্র শিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার লক্ষ্য সামনে রেখে এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন, বাংলাদেশের উন্নয়ন।

জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

করোনা বিপর্যয়ের অভিঘাতে বস্ত্র খাতকে রক্ষায় অবদানের জন্য সাতটি সংগঠনকে সম্মাননা দিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিজিবিএ, বিজিবিএ, বিএসটিএমপিআইএ, বিটিটিএলএমইএ এবং বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতী সমিতি।

অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম, মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, বস্ত্র অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহম্মদ নুরুজ্জামান, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ, বিটিএমএ এবং বস্ত্র খাতের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রতিনিধিরা।

এর আগে শনিবার সকালে জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এতে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।