ভোজ্যতেলে সুসংবাদ

আমদানি করা ব্যাপক পরিমাণের ভোজ্যতেল দেশে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ২ কোটি ২৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে এবং ১৩ হাজার টন পাম অয়েলবাহী জাহাজ আগামীকাল শুক্রবার (৬ মে) বন্দরে পৌঁছাবে। সিঙ্গাপুর এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে এসব ভোজ্যতেল বাংলাদেশে আসছে। চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ‘এমভি ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ’ নামে একটি জাহাজ সিঙ্গাপুর থেকে ২ কোটি ২৯ লাখ লিটার অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে গত ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে। অপরদিকে ১৩ হাজার টন পাম অয়েলবাহী ‘এমটি সুমাত্রা পাম’ জাহাজটি আগামীকাল শুক্রবার (৬ মে) চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ান পতাকাবাহী জাহাজটি গত ২৭ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার লুবুক গেয়াং বন্দর থেকে যাত্রা করেছে। মেরিন ট্রাফিক তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ তথ্য দিয়েছে। 

গত সোমবার (২ মে) রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব উমর ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে তেল নিয়ে গত বৃহস্পতিবার এসেছে একটি জাহাজ। দেশের শীর্ষস্থানীয় চারটি কোম্পানি সিটি গ্রুপ, সেনা কল্যাণ এডিবল অয়েল, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল ও বসুন্ধরা গ্রুপ এ তেল আমদানি করেছে। আমদানি করা তেলের খালাস প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।

অপরদিকে ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটির বাংলাদেশে লোকাল এজেন্ট মোহাম্মদী ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার কাজী আবু নাঈম জানান, এমভি সুমাত্রা পাম জাহাজটি শুক্রবার (৬ মে) চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। 

উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল রফতানিকারী দেশ। বাংলাদেশে পাম অয়েল আমদানির ৯০ শতাংশ আমদানি হয় ইন্দোনেশিয়া থেকে। গত ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে পাম অয়েল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইন্দোনেশিয়া। 

চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের শীর্ষ আমদানিকারকরা ইন্দোনেশিয়ান সরকারের নিষেধাজ্ঞার আগে এপ্রিল মাসেই প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টন পাম অয়েল আমদানি করেছে। বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১৩ লাখ টন পামঅয়েল আমদানি হয়। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ আমদানি হয় ইন্দোনেশিয়া থেকে। বাকি ১০ শতাংশ আসে মালয়েশিয়া থেকে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে ইন্দোনেশিয়ায় কমপক্ষে ২০ হাজার টন পাম অয়েল আমদানির চালান আটকে গেছে। যদিও নিষেধাজ্ঞা জারির আগেই এসব পাম তেল আমদানির এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানি করা অপরিশোধিত এসব ভোজ্যতেল প্রথমে পতেঙ্গা ট্যাংক টার্মিনালে রাখা হবে। সেখান থেকে আমদানিকারক কোম্পানিগুলো তাদের কারখানায় নিয়ে যাবে। দেশে চলমান ভোজ্যতেল সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই তেল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানি করা অপরিশোধিত এ তেল প্রথমে পতেঙ্গা ট্যাংক টার্মিনালে রাখা হবে। সেখান থেকে আমদানিকারক কোম্পানিগুলো তাদের কারখানায় নিয়ে যাবে। দেশে চলমান ভোজ্যতেল সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই তেল।