বিজিএমইএ-কে সহযোগিতার আশ্বাস পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

বাণিজ্যে নতুন সুযোগ অন্বেষণ এবং তৈরি পোশাকসহ সামগ্রিক রফতানি বাড়াতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক রফতানিকারক ও মালিক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ‘এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশের সরকার ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আরও গঠনমূলক সংলাপ ও সম্পৃক্ততা প্রয়োজন।

বুধবার (৬ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, পরিচালক আসিফ আশরাফ এবং বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফরেন মিশন সেলের চেয়ারম্যান শামস মাহমুদ।

বৈঠকে তারা বিশেষ করে বাংলাদেশের এলডিসি গ্রাজুয়েশন, রফতানি বাজারে শুল্ক কাঠামোয় সম্ভাব্য পরিবর্তন এবং এলডিসি পরবর্তী যুগে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা ধরে রাখার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান নতুন বাজার সুযোগ অন্বেষণ করতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ মিশনগুলোর জোরালো ভূমিকা কামনা করেন। তিনি ২০২৬ সালে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের পর ১০ বছরের জন্য বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপরও জোর দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিজিএমইএ নেতাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পোশাক শিল্পের স্বার্থে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বাংলাদেশের রফতানি আয়ে অসামান্য অবদান রাখার জন্য পোশাক শিল্পকে অভিনন্দন জানান।

উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের রফতানি ৫২.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছায়, যেখানে পোশাক শিল্প এককভাবে ৪২.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে।