ব্যাংকের পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ হিসাবায়নে পরিবর্তন আনার নির্দেশ

পুঁজিবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ধারণকৃত শেয়ারের ক্রয়মূল্যকে ‘বাজারমূল্য’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। শেয়ার, করপোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রের বাজারমূল্য হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। রবিবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে শেয়ার ধারণের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণে  তালিকাভুক্ত শেয়ার, ডিবেঞ্চার, কর্পোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট এবং পুঁজিবাজারের অন্যান্য নির্দেশনপত্রে বিনিয়োগ হিসাবায়নের ক্ষেত্রে বাজার এর পরিবর্তে ক্রয়মূল্য বিবেচনা করতে হবে।

জানা গেছে, শেয়ার বাজারের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়াতে এই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থাৎ এখন থেকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিটের হিসাব হবে শেয়ারের ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে। ব্যাংক কোম্পানি আইনের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে গত ৪ আগস্ট ব্যাংকের শেয়ার ধারণের ঊর্ধ্বসীমা সংক্রান্ত সার্কুলারে বলা হয়েছে, সরকারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৬ক উপধারা অনুযায়ী পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ধারণকৃত শেয়ারের ক্রয়মূল্যকে ‘বাজারমূল্য’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। শেয়ার, করপোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রের বাজারমূল্য হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।

এর আগে ২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ শেয়ারের ক্রয়মূল্যকে ‘বাজারমূল্য’ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মতামত দেয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সেই মতামত পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।