আরও ৪-৫টি কোম্পানির শেয়ার বাজারে আসছে

আগামী একমাসে আরও চার-পাঁচটি কোম্পানিকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৬ মে) ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইকুইটিজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত প্রাকবাজেট আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মোহাম্মদ নাছের, বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ‘প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মতোই এসএমই বোর্ডের আওতায় কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের মাধ্যমে (কিউআইও) কোম্পানিগুলোকে অর্থ সংগ্রহের জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘স্টার্টআপকে দাঁড় করাতে হবে। নতুন প্রজন্মকে কাজে লাগাতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। বিএসইসিকে কাজে লাগাতে হবে। স্টার্টআপ ব্যবসার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যেতে হবে না। প্রয়োজনে কমিশন নীতিমালার মাধ্যমে বন্ড অনুমোদন করে ফান্ড দেবে।’

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমান কমিশন ব্যবসাবান্ধব। আমরা ব্যবসাকে সহজ করে দেওয়ার জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে দেশের ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে এসএমই বোর্ডে একটি কোম্পানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী একমাসের মধ্যে আরও চার থেকে পাঁচটি কোম্পানির অনুমোদন দেওয়া হবে। এই বোর্ড ধীরে ধীরে বড় হবে এবং পরবর্তী সময়ে এখান থেকে বিভিন্ন কোম্পানি মূল বোর্ডে চলে যাবে।’

বিদেশিরাও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুর, দুবাই এমনকি আমেরিকার প্রচুরসংখ্যক নাগরিক বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তারা প্রতিনিয়তিই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। আর আমরা অর্থনীতিতে অনেক পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ৫ শতাংশ দুষ্টলোকের কারণে ৯৫ শতাংশ ভালো মানুষকে কষ্ট দিতে পারি না। আমরা এখন পলিসি পরিবর্তন করবো। ৯৫ শতাংশ মানুষের ব্যবসার জন্য পলিসি করবো।’

তিনি বলেন, ‘স্টার্টআপকে এগিয়ে নিতে কমিশন একটি ভ্যাঞ্চার কোম্পানির লাইসেন্স দিয়েছে। আর দুটি কোম্পানির আবেদন জমা রয়েছে। তবে এই খাতকে এগিয়ে নিতে সুশাসনের দিকে নজর দিতে হবে। কেননা দুই-একটি দুষ্টলোকের কারণে পুরো খাতটি হুমকির মুখে পড়তে পারে।’