রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের লোকসানি শাখা বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্বেগ

সরকারি ব্যাংকগুলোতে লোকসানি শাখা বাড়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংককে খেলাপি কমানোর পাশাপাশি লোকসানি শাখাও কমিয়ে আনতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন গভর্নর ফজলে কবির।

সোমবার (১১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের স‌ঙ্গে বাৎসরিক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের সময় এ নি‌র্দেশনা দেন গভর্নর ফজলে কবির।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, সরকারি চার ব্যাংকের এমডি, নির্বাহী পরিচালক, পর্যবেক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, করোনার মধ্যে সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পাশাপাশি লোকসানি শাখাও বাড়ছে। এতে রাষ্ট্র মালিকানার সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী এই চার ব্যাংকের নাজুক অবস্থা কাটছে না। যে কারণে লোকসানি শাখা কমিয়ে আনতেও নির্দেশনা দিয়েছেন গভর্নর।

এদিকে চলমান ইস্যু হিসেবে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলো যথানিয়মে এবং দ্রুততার সঙ্গে শতভাগ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে।

এদিকে, নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় এবং নির্দিষ্ট কিছু মানুষের মধ্যে ঋণ বিতরণ করছে ব্যাংকগুলো। এতে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ছে ব্যাংক ঋণ। আর ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকার নতুন নতুন উদ্যোক্তা। এমন ধারাবাহিকতা থেকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা।

জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ জনতা ব্যাংকের। জুন শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা, অগ্রণীর ৭ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা এবং রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৩ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা। সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ২০ দশমিক ৬২ শতাংশ। কিন্তু অনেক আগেই তা কমে ১০ শতাংশের নিচে নেমে আসার চুক্তি ছিল।