জানুয়ারিতেও থাকছে বিশেষ সুবিধায় ঋণ পরিশোধের সুযোগ

২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তির ১৫ শতাংশ জমা দিলে খেলাপি না করার নির্দেশনা আছে। চলতি জানুয়ারি পর্যন্ত এই সুবিধা পাবেন উদ্যোক্তারা।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) মৌখিকভাবে ব্যাংকগুলোকে বিষয়টি জানিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

করোনার কারণে ২০২০ সালজুড়ে কোনও টাকা পরিশোধ না করলেও গ্রাহকদের খেলাপি করা যাবে না এমন সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে বিশেষ সুবিধার নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বলা হয়, ডিসেম্বরের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে ঋণের ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলেই খেলাপি হবে না গ্রাহক। বিশেষ এ সুবিধা আর বাড়ানো হবে না বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শেষ না হওয়ায় এখনই নীতি-সহায়তা তুলে না নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ ডিসেম্বর আগের নির্দেশনা থেকে সরে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন নির্দেশনা জারি করে জানানো হয়, ২০২১ সালে একজন ঋণ গ্রহীতার যে পরিমাণ পরিশোধ করার কথা তার মধ্যে ১৫ শতাংশ পরিশোধ করলে গ্রাহক নিয়মিত থাকতে পারবেন। খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন না।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫ শতাংশ পরিশোধ করে নিয়মিত দেখানো ঋণের বিপরীতেও পুরো সুদ আয় খাতে নিতে পারবে ব্যাংক। তবে বিশেষ সুবিধায় নিয়মিত দেখানো এ ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত ২ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে।

এর আগে, ১৫ ডিসেম্বর ব্যাংকখাতে ঋণ পরিশোধের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য গভর্নর বরাবর আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।