১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৫৫ শতাংশ, স্বাস্থ্য সেবায় বাস্তবায়ন ৩৯ শতাংশ

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) ৫৫ দশমিক ১৮ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। এটি গত অর্থ বছরের (২০২০-২১) একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক শুন্য ৯ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে এডিবি বাস্তবায়নের হার ছিল ৪৯ দশিমক শুন্য ৯ শতাংশ।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। রবিবার আইএমইডির ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

এ বছর সংশোধিত দুই লাখ ১৭ হাজার ১৭৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এডিবি বরাদ্দের মধ্যে ১০ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এ হিসেবে অর্থ বছরের বাকি দুই মাসে ৯৮ হাজার ৩৪৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা খরচ করতে হবে।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সরকার ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকার এডিপি গ্রহণ করে। পরে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় তা সংশোধন করে ২ লাখ ৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। অবশ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নসহ মোট ২ লাখ ১৭ হাজার ১৭৫ কোটি টাকার এডিপি চলমান রয়েছে।

আইএমইডির হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের তুলনায় বৈদেশিক সহায়তা বা প্রকল্প সহায়তার অর্থ ব্যয়ের হার বেশি। এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৫৩ শতাংশ এবং বৈদেশিক অর্থায়ন থেকে প্রায় ৫৯ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে।

আইএমইডির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বরাদ্দের দিক দিয়ে বড় ১৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের গড় বাস্তবায়ন মোট বাস্তবায়ন হারের চাইতে বেশ কিছুটা বেশি।

এর মধ্যে প্রায় ৮৩ শতাংশ বরাদ্দ বাস্তবায়ন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬১ শতাংশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ৬১ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বৃহৎ ১৫ খাতের সবচেয়ে কম বাস্তবায়ন হয়েছে স্বাস্থ্য সেবা খাতে। এ খাতটি ৩৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে। যা জাতীয় বাস্তবায়নের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম।

এরপর যথাক্রমে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রায় ৬১ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ প্রায় ৬০ দশমিক ৩১ শতাংশ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রায় ৫৫ শতাংশ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৫৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ৫৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ৫৩ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং সেতু বিভাগ প্রায় ৫১ শতাংশ বরাদ্দ ব্যয় করতে পেরেছে।