রিজার্ভ এখন ৩৪ বিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।

সোমবার (৭ নভেম্বর) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মেয়াদের আমদানি বিল বাবদ ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২ নভেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে অর্থাৎ গত বছরের ২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল  ৪৬ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। যা প্রায় ১২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার বেশি।

প্রসঙ্গত, বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিনিয়ত রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া রফতানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহেও উন্নতি হচ্ছে না। যদিও আমদানি ব্যয়ও কমানো সম্ভব হয়েছে।

অবশ্য পরিস্থিতি সামলাতে সরকার এখন আইএমএফের ঋণ নিতে চেষ্টা করছে। ধারণা করা হচ্ছে—আগামী বছরের শুরুতেই ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, হয়তো আগামী বছরের শুরুতেই ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া সম্ভব। এখন রিজার্ভ যাতে আর না কমে সে জন্য আইএমএফের ঋণটা যাতে দ্রুত পাওয়া যায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে আমদানি ব্যয় কমানোর পাশাপাশি রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি মনে করেন, আইএমএফ যেসব কথা বলছে বা যেসব শর্ত দিচ্ছে তার কোনোটিই নতুন নয়। তাই পরামর্শগুলো শর্ত হিসেবে ধরে নিয়েও যদি ঋণটা দ্রুত পাওয়া যায়, সেটিই মঙ্গল হবে বলে মনে করি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ জুলাই ব্যাল্যান্স অব পেমেন্ট, বাজেট সহায়তা ও অবকাঠামো খাতের জন্য ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি দেয় সরকার। এরপর গত ২৬ অক্টোবর দেশে এসেছে আইএমএফের প্রতিনিধিদল। ঋণ দেওয়ার শর্ত নিয়ে ও বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে আলোচনা করছেন তারা। এই প্রতিনিধি দলের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে কতদিন নাগাদ ঋণ পাওয়া যাবে।

মূলত, বাংলাদেশে রিজার্ভের উল্লম্ফন হয় ২০২০ সালে। তবে গত বছরের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে বেশ চাপে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এজন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ।