বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক 

ইতালির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান

ইতালির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘ইতালি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার। ইতালিতে অনেক বাংলাদেশি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। ইতালির তৈরি শিল্প কল-কারখানার যন্ত্রপাতি এবং মেডিক্যাল মেশিনারিজ বাংলাদেশে প্রচুর ব্যবহার করা হয়। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজ লাগাতে হবে।’

সোমবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তার অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নানজিয়াতা’র সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে, উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেকগুলোর কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো কারখানা উদ্বোধন করা হয়েছে। ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টের (এফডিআই) ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। 

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে দক্ষ জনশক্তি ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে কম খরচে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। ইতালি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশ সফর করে বিনিয়োগের ক্ষেত্র নির্বাচন করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সবধরনের সুবিধা প্রদান করবে।’

এসময় ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নানজিয়াতা বলেন, ‘বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদনে বেশ সফল হয়েছে। বিশ্ববাজারে মেড ইন বাংলাদেশ ভালো ব্র্যান্ড। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ইতালিতে বেশ জনপ্রিয়। ইতালির অনেক পণ্য বাংলাদেশ আমদানি করে।’

উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। উভয় দেশের পর্যটক মিনিময় হতে পারে। ইতালি সরকার পর্যটনের বিষয়ে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে।’

উল্লেখ্য, এখন উভয় দেশের চলমান বাণিজ্যের পরিমান ২ হাজার ২৬২ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পণ্য ইতালিতে রফতানি করে ১ হাজার ৭০৮ দশমিক ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৫৫৪ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্যমন্ত্রী এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর জিএসপি ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে ইতালির সমর্থন প্রত্যাশা করেন।