‘জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উদ্বিগ্ন উদ্যোক্তারা’

দেশে আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন। এখনই রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেবে বলে হুঁশিয়ারি আসছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা।

এ অবস্থায় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাতে দেশের ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট না হয়, এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা ও চোরাচালান নিরোধ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।fa

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন দেশ তাদের বিনিয়োগ অন্যত্র সরিয়ে নিতে চায়। বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। এজন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনকে সামনে রেখে যাতে দেশের ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট না হয়, এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সোচ্চার থাকতে হবে। 

জসিম উদ্দিন আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল। ইতিবাচকভাবে সামনের দিকে এগোচ্ছে দেশ। দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দরকার। দেশে ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমদানি বিকল্প স্থানীয় শিল্প দাঁড়িয়ে গেলে সেসব পণ্য আমদানির প্রয়োজন নেই। উদাহরণস্বরূপ টাইলস শিল্পের কথা উল্লেখ করা যায়। আমদানিনির্ভরতা কমাতে স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠা করার এখনই উপযুক্ত সময়।

এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, দেশের অর্থনীতি আজ উন্নত। ব্যবসার পরিবেশ আছে বলেই অর্থনীতি এত বাড়ছে। তবে আরও উন্নত পরিবেশ দরকার। এজন্য সকলের আন্তরিকতা ও সততা থাকতে হবে। কিশোর গ্যাং সংগঠনগুলোকে চিহ্নিত করে তাদের সেবামূলক কাজে অন্তর্ভুক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করতে হবে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সু ডিলারস্ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার।

তিনি বলেন, মাদকদ্রব্যসহ সব ধরনের পণ্য চোরাচালান নিরোধে কাজ করার জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য দরকার। চোরাচালানের তথ্য সংরক্ষণে বর্ডারভিক্তিক চেম্বারগুলোর সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আনোয়ার সাদাত সরকার, হাফেজ হারুন, আক্কাস মাহমুদ, কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ নাজ ফারহানা আহমেদ, খন্দকার রুহুল আমিন, কোচেয়ারম্যান আকতার হোসেন খান, মোহাম্মদ শাহ আলম সরকার।