প্রযুক্তির ব্যবহারে বিমা খাতের আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব: ইডরা চেয়ারম্যান

২০২১ সালে জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান ছিল ০ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ২০২৩ সালেও একই রয়ে গেছে উল্লেখ করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ইডরা) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেছেন, ‘বিমা সম্পর্কে জ্ঞান সীমিত হওয়ায় এবং সময়মতো বিমার দাবি না পাওয়ায় মানুষ এই খাতে আস্থা হারিয়েছে। বিমা খাতে সম্ভাবনা অনেক, প্রযুক্তির ব্যবহারে আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত ‘ইনস্যুরটেক- স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে একটি নতুন মাইলস্টোন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় তিনি বলেন,  বেসিস, ইডরা ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন একসঙ্গে কাজ করলে ইনস্যুরটেক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন মাইলফোলক হিসেবে কাজ করবে। 

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বেসিসের সহ-সভপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসিসের ফিনটেক অ্যান্ড ডিজিটাল পেমেন্টস বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কো-চেয়ারম্যান ফিদা হক।

বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন বেসিসকে ইন্সুরেন্সকে প্রযুক্তির আওতায় আনার নীতিমালা প্রস্তাবের পাশাপাশি কীভাবে ইন্সুরেন্স সম্পর্কে নেতিবাচক সামাজিক মানসিকতা বদলানো যায়, সে ব্যাপারেও নীতিমালা প্রস্তাব করতে আহ্বান জানান।

এখন কী ধরনের বিমা প্রয়োজন, কী ধরনের প্রযুক্তি দরকার, নতুন প্রজন্মকে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করা যায় এবং জিডিপিতে কীভাবে বিমার অবদান বৃদ্ধি করা যায়— এসব বিষয় নিয়ে আইসিটি ও বিমা সংগঠনগুলোকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে বিমা সেবায় সম্পৃক্ত করতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ রেগুলেটরি স্যান্ডবক্স গাইডলাইন্স জারি করেছে।-বিজ্ঞপ্তি