অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তি দিলো এনবিআর

এনবিআরদুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও হয়রানির অভিযোগে তিন কর্মকর্তাকে শাস্তি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এদের মধ্যে কর অঞ্চল রংপুর এর ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারি নিয়োগ পরীক্ষা অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কর অঞ্চল রংপুর কমিশনার (বর্তমানে সদস্য, ট্যাকসেস আপিলাত ট্রাইব্যুনাল, দ্বৈত বেঞ্চ খুলনা)  অনিমেষ রায়কে নিম্নপদে পদানবতির দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই অভিযোগে কর অঞ্চল রংপুর অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. রিয়াজুল ইসলামকে (বর্তমানে অতিরিক্ত কর কমিশনার, কর অঞ্চল খুলনা) ও উপ-কর কমিশনার, কর অঞ্চল রংপুর মোহাম্মদ আমিরুল করিম মুন্সীকে পদাবনতির দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কর অঞ্চল সিলেট, সহকারী কর কমিশনার সফি-উল-আলম, কাস্টমস কমিশনার এম হাফিজুর রহমান, সহকারী কর কমিশনার জাহিদুল ইসলাম ও ঢাকা কর পরিদপ্তরের উপ পরিচালক বিদ্যুৎ নারায়ন সরকারসহ অনেক কর্মকর্তাকে চাকুরিচ্যূত ও শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে রং বদলাতে শুরু করেছে এনবিআর ও এনবিআরের কর্মকর্তারা। এর মাধ্যমে আমরা কঠোর বার্তা দিতে চাই, দুর্নীতি হয়রানি করলে আইনের আওতায় আনা হবে। সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে কাজ করলে থাকবে প্রণোদনার ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, সুশাসন ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা নীতির আলোকে বর্তমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পরিচালত হচ্ছে। ফলে রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি রাজস্ব ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার থেকে মাসব্যাপী রাজস্ব ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

এর আগে (২১ ডিসেম্বর) বুধবার সেগুনবাগিচাস্থ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামনে স্থাপন করা হয় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ভাস্কর্য।  ভাস্কর্য স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজিবুর রহমান রাজস্ব ফাঁকিবাজদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘বাঘের মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে নতুন পর্যায়ের সূচনা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। যেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ব্র্যান্ড হবে কথার চেয়ে কাজ বেশি।’

তিনি বলেন, ‘আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগের আইনের আওতায় যে সব জায়গায় আয়কর ও শুল্ক ফাঁকি, ভ্যাটে অব্যবস্থাপনা দেখা যাবে কমিশনারদের নেতৃত্বে টিম দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। একই সঙ্গে আয়কর বিভাগের পক্ষে আয়কর পরিদর্শন বিভাগ, শুল্ক বিভাগের পক্ষে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর, ভ্যাট বিভাগের পক্ষে ভ্যাট নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা অধিদফতর কাজ করবে।’

/জিএম/এএ/