এপিজির কো-চেয়ারের দায়িত্ব সফলভাবে সম্পন্ন করলো বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ব্যাংকএশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিং (এপিজি) এর কো-চেয়ারের দায়িত্ব সফলভাবে সম্পন্ন করলো বাংলাদেশ। মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণকারী সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) একটি আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিং (এপিজি) এর কো-চেয়ারের দায়িত্ব সফলভাবে শেষ করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তা আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের পর মালয়েশিয়ার ডেপুটি গভর্নর মারজুনিসাম ওমর পরবর্তী কো-চেয়ারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তবে বিদায়ী কো-চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ আগামী জুলাই ২০২১ পর্যন্ত গভর্নেন্স কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশের অঙ্গীকার বিবেচনায় ২০১৮-২০২০ মেয়াদে বাংলাদেশ এপিজির কো-চেয়ারের দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচিত হয়। পরে বাংলাদেশ সরকার এ দায়িত্ব পালনের জন্য বিএফআইইউ-এর প্রধান কর্মকর্তাকে মনোনীত করে।
কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এপিজি’র বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণী বিষয় বাস্তবায়ন, এপিজি’র গভর্নেন্স, সংস্থাটির পরিচালনা, বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণ ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ এপিজি’র স্থায়ী কো-চেয়ার অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি উক্ত সময়কালের জন্য রাজী হাসান এপিজিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি এফএটিএফ স্ট্র্যাটেজিক রিভিউ-এর জন্য গঠিত এপিজি’র অ্যাডহক কমিটির কো-চেয়ারেরও দায়িত্ব পালন করেন। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত এপিজি’র ২২তম বার্ষিক সভার প্লেনারিতে হংকং চায়না, চাইনিজ তাইপে, সলোমন আইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও পাকিস্তানের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ পরিপালন ব্যবস্থা মূল্যায়ন কার্যক্রম মিউচ্যুয়াল ইভ্যালুয়েশন সম্পন্ন হয় ও রিপোর্ট অনুমোদন হয়। রাজী হাসান উক্ত প্লেনারিতে হংকং চায়না, চাইনিজ তাইপে ও সলোমন আইল্যান্ড এর মিউচ্যুয়াল ইভ্যালুয়েশন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সর্বসম্মতিক্রমে রিপোর্ট অনুমোদন করেন। এছাড়া ২০১৮-২০২০ মেয়াদে তিনি এপিজি সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বিভিন্ন প্রস্তাবনা পর্যালোচনা যেমন এপিজি বাজেট, টার্মস অব রেফারেন্স পরিবর্তন, সদস্য সংক্রান্ত বিষয়, এপিজি’র গঠন এবং কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়াদি, বিভিন্ন পেপার এবং রিপোর্টের চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করেছেন।
কো-চেয়ার হিসেবে এ বছর বাংলাদেশে এপিজি’র ২৩তম বার্ষিক সভা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি থাকার পরও করোনা মহামারির কারণে সব সদস্য রাষ্ট্রের মতামতের ভিত্তিতে তা বাতিল করা হয়।