১৯ অনলাইন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ

রাজধানীর গুলশানে অনলাইন শপিং মেলায় অংশ নেওয়া ১৯টি অনলাইন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর। তাদের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জারি করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর।

মেলায় অংশ নেওয়া অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে—১. সানাহ শরিফ, ২. মারাভ বাই নাজিয়া, ৩. আবহমান বাই রাফিয়া, ৪. লা ডিমোরা, ৫. মেরি নেশন, ৬. লাহা, ৭. সুজানাজ, ৮. সোনিয়া মমতাজ, ৯. হ্যাভেনলি ডেজার, ১০. রেড চেরি, ১১. তাইয়াবাজ ক্লোজেট, ১২. সামার বাই সানজিদা, ১৩. জাইয়ানা বাই সুমনা, ১৪. এফএসকে ফ্যাশন, ১৫. হোয়াইট ব্লজম, ১৬. সুজানাজ ক্লোজেট, ১৭. মহুয়া শরফুদ্দিন, ১৮. হেনা ও ১৯. শারকিয়া।

জানা গেছে, রাজধানীর গুলশান ১ নম্বরে ‘ও প্লে’ নামের একটি রেস্টুরেন্টে ১২ ফেব্রুয়ারি  দিনব্যাপী মেলা চলছিল। সেখানে অংশ নেয় ১৯টি অনলাইন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। খবর পেয়ে ভ্যাট গোয়েন্দা দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। মেলায় অংশ নেওয়া সব স্টলের মালিকের অনলাইনে বিক্রয়ের নিজস্ব ফেসবুক পেজ রয়েছে। তারা প্রত্যেকে প্রদর্শনী করে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে থাকেন। মেলায় অংশ নেওয়া স্টলের বেশিরভাগই নারীদের ড্রেস ও জুয়েলারির সামগ্রী প্রদর্শন করে।

ভ্যাট গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মেলায় অংশ নেওয়া ১৯টির মধ্যে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন রয়েছে। তবে তারা নিয়মিত ভ্যাট ও রিটার্ন পরিশোধ করে না। বাকি ১৭টির কোনও ভ্যাট নিবন্ধনই নেই। ভ্যাট আইন অনুসারে, ভ্যাট নিবন্ধন না নিয়ে কোনও ব্যবসা পরিচালনা করা যায় না। অনলাইন কেনাকাটায় ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য এবং প্রতি মাসের হিসাব পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ভ্যাট অফিসে রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।

ভ্যাট গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা পশ্চিম কমিশনারের কাছে সুপারিশ করেছে অভিযান পরিচালনাকারী ভ্যাট গোয়েন্দা টিম।