চায়ের উৎপাদন বাড়াতে সরকারের রোডম্যাপ

২০২৫ সালের মধ্যে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চা শিল্পের জন্য ৫ বছরের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রবিবার (৬ জুন) ঢাকায় বাংলাদেশ চা বোর্ড আয়োজিত ‘১ম জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে জুম প্লাটফর্মে ‘বাংলাদেশের চা শিল্প : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য প্রদানের সময় এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের চা উৎপাদন ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। বাড়ছে চাহিদাও। বিদেশেও বাংলাদেশের চায়ের বিপুল চাহিদা রযেছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে না। উৎপাদন বাড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে চা রফতানির চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।  

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চা উৎপাদন বাড়াতে দেশে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। চায়ের ন্যায্যমূল নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে। চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ আছে। তিনি চা শিল্পের উন্নয়নের জন্য অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। চা শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। বর্তমান সরকারও এ বিষয়ে সচেতন রয়েছে, চা শিল্পের উন্নয়নে কাজের ধারা অব্যাহত রেখেছে। নতুন চায়ের বাগান বৃদ্ধি, নতুন জাত উদ্ভাবন, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে যথাযথ বাজারজাতকরণের বিষয়ে সরকার আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালে চায়ের সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ চাহিদা হবে ১২৯ মিলিয়ন কেজি। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ১১ মিলিয়ন কেজি চা তখন রফতানি করা সম্ভব হবে। 

গত ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ৯৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। বাংলাদেশ ২০২০ সালে ২২টি দেশে মোট ২ দশমিক ১৭ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করেছে, যা ২০১৯ সালের রপ্তানির তুলনায় প্রায় ২৬০% বেশি। দেশের উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদনে আশাব্যাঞ্জক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে দিন দিন চায়ের উৎপাদন বাড়ছে। সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালালে চা শিল্পের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

ড. মঈদউদ্দীন আহমেদের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জহিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন - বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন - বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি এম শাহ আলম, টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি শাহ মঈনুদ্দীন হাসান, পঞ্চগড় টি গ্রোয়ার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হকসহ চা শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।