শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঢাকা চেম্বারের সঙ্গে কাজ করবে বুয়েট

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঢাকা চেম্বারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

সোমবার (৭ জুন) অনলাইনে অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মধ্যকার সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এবং বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, উভয় প্রতিষ্ঠানই দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে শিল্প খাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি শিল্প খাতভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণে কাজ করবে। এছাড়াও ডিসিসিআই এবং বুয়েট যৌথ উদ্যোগে সেমিনার, কর্মশালা, চাকরি মেলা, ব্যবসায়ী সম্মেলন, শিল্প-শিক্ষার সমন্বয়ের জন্য মডেল উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, গত ছয় দশক ধরে বিশেষ করে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। তিনি বলেন, দেশের বৃহৎ অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন ও পরামর্শ প্রদান এবং বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে বুয়েট সব সময়ই নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত করতে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ এবং সর্বোপরি শিল্প খাতের প্রয়োজনের নিরিখে যৌথভাবে খাতভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য ডিসিসিআই সভাপতি আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, শিল্প-শিক্ষার সমন্বয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের ক্ষেত্রে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকটি একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের মানবসম্পদকে পুনরায় দক্ষ করার লক্ষ্যে এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন সময়ের দাবি।

বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশকে একটি শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে পরিণত হতে হলে, শিল্প খাতের বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার কোনও বিকল্প নেই। তিনি জানান, আগামীতে বুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রমে বিশেষ করে শিল্প খাত বিষয়ক গবেষণা আরও বৃদ্ধি করবে। উপাচার্য আরও বলেন, শিল্প খাতের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি শিল্প খাতের সমস্যা সমাধানে শিল্প ও শিক্ষা খাতের সমন্বয় বাড়ানোর বিকল্প নেই। তিনি সমঝোতা চুক্তিটির যথাযথ বাস্তবায়নে বছরভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নেরও প্রস্তাব করেন। দক্ষতা উন্নয়নে তিনি বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আরও বেশি হারে শিল্প খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

এ সময় ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে মবিন, বুয়েটের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল জাব্বার খান, ফ্যাকাল্টির ডিন ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।