কর ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে ই-টিডিএস সিস্টেম চালু

স্বয়ংক্রিয়ভাবে উৎসে কর কর্তন ও মামলার জট কমানোসহ কর ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চালু হলো ই-টিডিএস সিস্টেম। বুধবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্ভাবিত এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন হয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের আশা, ‘কর ব্যবস্থাপনায় উৎসে কর কর্তন, সরকারি কোষাগারে জমাদান ও রিপোর্টিংয়ে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে ই-টিডিএস সিস্টেম। একইসঙ্গে মামলার জট কমে আসবে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি কমবে এবং রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এবং অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। 

জানা যায়, আয়কর আইনে ৩৪টি ধারায় উৎসে কর কর্তন এবং ১৯টি ধারায় উৎসে কর সংগ্রহের বিধান রয়েছে। এসব ধারার অধীনে উৎসে কর কর্তন ও সংগ্রহের বিষয়টি ম্যানুয়ালি পরখ করা সময়সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য। প্রতিটি উৎসে কর কর্তন করে কর্তৃপক্ষকে দুটি অর্ধবার্ষিক রিটার্ন এবং ২৪টি মাসিক বিবরণীসহ মোট ২৬টি রিপোর্ট দাখিল করতে হয়। 

এছাড়া নির্ধারিত হারে কর কর্তন, সঠিক কোডে ও যথাসময়ে উৎসে কর কর্তন কর্তৃপক্ষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। রাজস্বের প্রধান খাত উৎসে কর ব্যবস্থাপনায় আর্থিক শৃঙ্খলা জোরদারে নব উদ্ভাবিত স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাটি আয়কর প্রশাসনের জন্য সহায়ক হবে। ফলে রাজস্ব ফাঁকি কমবে এবং রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে।

এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার ফলে উৎসে কর খাতে বিপুল পরিমাণ কাগজপত্র ও এর সঙ্গে সংযুক্ত চালান জমা দিতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। পাশাপাশি বিভিন্ন গাণিতিক হিসাব পরিগণনায় বিভ্রান্তি দূর হবে। ই-টিডিএস সিস্টেমে উৎসে কর কর্তনকারীরা লগ-ইন করে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন ও এই চালান সিস্টেমের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক কর পরিশোধ করতে পারবেন। ফলে আয়কর কর্তৃপক্ষ সহজেই মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

২০২০ সালের মে মাসে ই-টিডিএস সিস্টেমের কাজ শুরু হয়। গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বৃহৎ করদাতা ইউনিট ও কর অঞ্চল ১, ২ ও ৬-এ এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলেছে। একইদিন ই-টিডিএস ল্যাবের উদ্বোধন হয়।