বিমানবন্দরের স্ক্যানার সচল করার অনুরোধ বিজিএমইএ’র

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অকেজো বিস্ফোরক শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (ইডিএস) ঠিক করার জন্য অনতিবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে।

সংগঠনটি রফতানি কার্গোর স্ক্যানিং প্রক্রিয়া দ্রুত করতে স্ক্যানারের সংখ্যা বাড়ানোর জন্যও অনুরোধ জানায়।

বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রবিবার (১০ অক্টোবর) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠকে এই অনুরোধ জানান।

বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমানবন্দরে দু’টি ইডিএস মেশিন সেবার বাইরে থাকার কারণে তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানি ব্যাহত হচ্ছে। আবার, দু’টি নতুন ইডিএস মেশিন স্থাপন করা হলেও তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈধতা না পাওয়ার কারণে মেশিনগুলো চালু করা যাচ্ছে না।

যেহেতু কারিগরি ত্রুটির কারণে স্ক্যানিং প্রক্রিয়া প্রায়ই বাধাগ্রস্ত  হচ্ছে, তাই বিজিএমইএ নেতারা ইডিএস মেশিনগুলো সচল রাখার লক্ষ্যে সেগুলোর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা কর্তৃপক্ষকে রফতানি কার্গোর যেখানে স্ক্যানিং করা হয়, সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গার ব্যবস্থা করারও অনুরোধ জানান।

এছাড়া স্ক্যান করার পর রফতানি পণ্য বিমানে ওঠানোর পূর্ব মুহূর্তে সংরক্ষণের জন্য বিশাল পার্কিং লটের  ব্যবস্থা করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়, যাতে করে সুশৃঙ্খলভাবে পণ্য জাহাজিকরণ করা যায়। প্রতিনিধি দল বিমান থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্য নামানোর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কেনোপির ভেতর পণ্য নিয়ে আসার ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ জানান।

বিজিএমইএ নেতারা কার্গো শেডে তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্যগুলো সুশৃঙ্খল ও সারিবদ্ধভাবে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। তারা  বলেন, এতে করে পণ্য সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে এবং দ্রুততার সঙ্গে রিলিজ করা সম্ভব হবে।