৫ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে এসএমই পণ্য মেলা

আগামী ৫-১২ ডিসেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজন করা হবে নবম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২১।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার,  শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান।

শিল্পমন্ত্রী জানান, ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় নবম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে  প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২১’ বিজয়ী ৪ জন উদ্যোক্তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হবে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় শতভাগ দেশি পণ্যের এই মেলায় উদ্যোক্তাদের জন্য ৩২৫টি স্টলের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া, মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মাঝে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচিতি ও কর্মসূচি তুলে ধরার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের একটি সেক্রেটারিয়েট, মিডিয়া সেন্টার, রক্তদান কেন্দ্র, ক্রেতা-বিক্রেতা মিটিং বুথ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান, যেমন- বিটাক, বিএসটিআই, বিসিআইসি, বিসিক, বিএসইসি, জেডিপিসি, বিসিএসআইআর, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং প্লাটিনাম স্পন্সর ব্র্যাক ব্যাংক, গোল্ডেন স্পন্সর লংকা বাংলা, সিলভার স্পন্সর ব্যাংক এশিয়া ও ইস্টার্ন ব্যাংক, কো-স্পন্সর জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-এর স্টল থাকবে। ‘জাতীয় শিল্পনীতি ২০১৬’ অনুযায়ী, উচ্চ অগ্রাধিকার/অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত কৃষি/খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী শিল্প, আইসিটি/সফট্ওয়ার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাট ও পাটজাত, প্লাস্টিক, হস্ত ও কারুশিল্প, জুয়েলারি (কৃত্রিম), খেলনা ও আগর শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে। দেশীয় উৎপাদনকারী অথবা সেবামূলক মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পই শুধুমাত্র মেলায় প্রদর্শন ও বিক্রয়ের সুযোগ পাবে। বিদেশী/আমদানিকৃত পণ্য মেলায় প্রদর্শন কিংবা বিক্রয় করা যাবে না। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এবার অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৬০% নারী এবং ৪০% পুরুষ। মেলায় অংশ নিচ্ছে ফ্যাশন ডিজাইন খাতের সবচেয়ে বেশি ১১৬টি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩৭টি, খাদ্য/কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য খাতের ৩৬টি, হ্যান্ডিক্রাফটস আইটেম ৩৩টি, পাটজাত পণ্য খাতের ২৯টি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য খাতের প্রতিষ্ঠান ১৭টি, আইটি খাতের ৪টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স খাতের ৬টি, হারবাল/অর্গানিক পণ্যের ৪টি, জুয়েলারি পণ্যের ৪টি এবং প্লাস্টিক পণ্য খাতের ৩টি প্রতিষ্ঠান মেলায়  অংশ নিচ্ছে।

২০১২ সাল থেকে জাতীয়ভাবে এসএমই পণ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত গত ৮টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫৬১ জন উদ্যোক্তা প্রায় ২১.৮৮ কোটি টাকার পণ্য বিক্রয় এবং প্রায় ৩৬.৫০ কোটি টাকার অর্ডার গ্রহণ এবং ৮৬টি আঞ্চলিক (বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে) এসএমই পণ্য মেলায় ৩১৬২ জন এসএমই উদ্যোক্তা পণ্য প্রদর্শন করে ২৩.৩৩ কোটি টাকার পণ্য বিক্রয় এবং ২১.১৪ কোটি টাকার অর্ডার গ্রহণ করেন।