টেক্সটাইল শিল্পে রাসায়নিক ব্যবহারে গাইডলাইন আসছে

পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পের জন্য জাতীয় কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। জার্মানির পক্ষ থেকে এই গাইডলাইন প্রণয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সাহায্য করছে জিআইজেড।  

মন্ত্রণালয় রবিবার (২ জানুয়ারি) প্রস্তুতকৃত খসড়া গাইডলাইন বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে পরামর্শ নিতে এক সভার আয়োজন করে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কামরুননাহার। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. হাফিজুর রহমান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও উর্মি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ, বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে এহসান শামীম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ওয়ার্নার ল্যাঙ্গে, ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর-টেক্সটাইল, জার্মান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশান (জিআইজেড) বাংলাদেশ।

আলোচনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনসহ (বিটিএমএ) বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলস (বুটেক্স), বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি), বস্ত্র ও পোশাক কারখানাগুলোর প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রতিনিধি, কেমিক্যাল প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

বুটেক্স-এর সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (ডাইস এন্ড কেমিক্যালস) ড. আব্বাস উদ্দিন এবং বুয়েটের অধ্যাপক (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) ড. শোয়েব আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

উল্লেখিত গাইডলাইন বস্ত্র ও পোশাক কারখানাগুলোকে দক্ষতার সঙ্গে রাসায়নিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দিবে। যা শ্রমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়ক এবং পরিবেশবান্ধব হবে।

প্রসঙ্গত, যদিও বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারে পোশাক রফতানিতে দীর্ঘদিন ধরে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে, তারপরও এখন পর্যন্ত এ দেশে টেক্সটাইল কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা নেই। যে কারণে এ শিল্পকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্রেতার নির্দেশনার ওপর নির্ভর করতে হয়।

ব্র্যান্ডগুলো ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশিকা দেওয়ার কারণে কারখানাগুলোও বিভ্রান্তিতে ভোগে এবং ক্রেতাদের পূর্ণাঙ্গ নির্দেশ মেনে চলা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।

টেক্সটাইল কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জাতীয় নির্দেশিকা হলে এ সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।