‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল’ আদৌ কিছু করে?

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছে একটি বিশেষ সেল— দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল। নিত্যপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা, আমদানি, মজুত ও বিতরণ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করার কথা এই সেলের। কিন্তু আট বছর আগে গঠিত এ সেল এখনও সাধারণ মানুষকে কোনও তথ্য দিতে পারেনি। দুই বছর ধরে হালনাগাদ হয়নি সেলটির ওয়েবসাইটও। বর্তমানে বাজারের উল্লম্ফন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন— বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল’ আদৌ কোনও আভাস দিচ্ছে?

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেলটি আইআইটি অনুবিভাগের আওতাধীন। এ সেলে মাত্র দুজন কর্মকর্তা কাজ করেন। তারা হলেন— বাণিজ্য পরামর্শক জিয়াউর রহমান ও সহকারী বাণিজ্য পরামর্শক শ্যামা পদ বিশ্বাস। জিয়াউর রহমান অফিসিয়াল কাজে এখন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। কাজ করছেন শ্যামা পদ কর্মকার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার মূল দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। এ জন্য ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর গঠন করা হয় ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল’। কার্যত এটি নিষ্ক্রিয়। বাজার পরিস্থিতি বা দ্রব্যমূল্য সম্পর্কে এ সেলের কর্মকর্তারা কোনও পর্যালোচনাও করছেন না, পূর্বাভাসও দিচ্ছেন না।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সংস্থা থেকে নিত্যপণ্যের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার দর, বন্দরে পণ্য খালাসের পরিমাণ, আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা ও নিষ্পত্তির তথ্য বিশ্লেষণ করে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের করণীয় নির্ধারণে সহায়তা করার কথা এই সেলের।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইআইটি অনুবিভাগের প্রধান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, ‘সেলটি নিষ্ক্রিয় নয়। আমরা বৈঠক করি। বাজার মূল্যায়ন করি। প্রতিবেদনও তৈরি করি। মোটকথা, আমরা কাজ করছি।’