‘নিরাপদ কর্মপরিবেশ পোশাক শিল্পকে বিশ্ববাসীর প্রশংসা এনে দিয়েছে’

বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, পোশাক শিল্পে নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, যা এ শিল্পকে বিশ্ববাসীর প্রশংসা এনে দিয়েছে। পোশাক শিল্প তা ধরে রাখতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

বৃহস্পতিবার ( ২৮ এপ্রিল) ঢাকায় ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস-২০২২’ উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এহছানে এলাহী।

ফারুক হাসান বলেন, ‘সরকার,  ব্র্যান্ড, আইএলও ও উন্নয়ন সহযোগীরা যৌথভাবে শ্রমিকদের ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি শিল্পে ব্যাপক নিরাপত্তার উদ্যোগ নেওয়ার কারণে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে একটি বাস্তব রূপান্তর ঘটেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ শিল্পটি এখন অন্যদের জন্য অনুকরণীয় একটি রোল মডেল এবং আমরা একটি নিরাপদ এবং টেকসই পোশাক সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের খ্যাতি ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো নিরাপদ হয়ে ওঠার পাশাপাশি শ্রমিক ও মালিকদের মানসিকতায় সুস্পষ্ট পরিবর্তন এসেছে। উভয় পক্ষই কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তাকে শিল্পের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখছেন।’

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা উদ্যোগগুলোর পাশাপাশি শ্রমিক-ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক বিষয়ে আইটিসি-আইএলও কর্তৃক ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রদান, পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য, কারখানা ম্যানেজমেন্ট এবং শ্রমিক উভয়ের জন্য শ্রম আইন এই পরিবর্তনে অবদান রেখেছে।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল (আরএসসি) গঠন করা হয়েছে এবং আরএসসি কারখানা পরিদর্শন, সংস্কার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ অব্যাহত রেখেছে।’

ফারুক হাসান তার বক্তব্যে শ্রম আইন সংশোধন, শ্রমবিধি প্রণয়ন, বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা কমিটি ও নির্বাচিত অংশীদার কমিটি গঠনসহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘রফতানির বিপরীতে পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলে বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলারের অধিক অর্থ  জমা দিচ্ছেন, যা প্রতিবছর রফতানির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে।’

অনুষ্ঠানে আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটি আইনেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশীর কবির এবং বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন।