চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিল্প-অ্যাকাডেমিয়া সহযোগিতা জরুরি: বিজিএমইএ

বিজিএমইএ-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেছেন, পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, বিশেষ করে দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশন বিশ্ব এবং প্রযুক্তির ঘন ঘন পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শিল্প-অ্যাকাডেমিয়া সহযোগিতা অপরিহার্য।

তিনি বলেন, ‘পোশাক শিল্পের জন্য যোগ্য এবং উপযুক্ত কর্মীগোষ্ঠী গড়ে তোলার পাশাপাশি, শিল্পের প্রয়োজনে গবেষণা চালানো ও জ্ঞানার্জনের জন্য শিল্প এবং অ্যাকাডেমিয়ার মধ্যে অংশীদারিত্ব স্থাপন অপরিহার্য।’

বুধবার (১৭ আগস্ট) নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মার্কেটিং অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ আয়োজিত ‘অর্থপূর্ণ শিল্প-অ্যাকাডেমিয়া অংশীদারিত্ব: বাংলাদেশের দ্রুত প্রবৃদ্ধি এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ওপর পোশাক শিল্প খাতের প্রভাব নিয়ে আলোচনা’ শীষর্ক সেশনে বক্তৃতা প্রদানকালে তিনি একথা বলেন।

শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, ‘ফ্যাশন শিল্পে ব্যবসায়িক গতি-প্রকৃতি দ্রুত গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বৈচিত্র্যময় ফ্যাশনেবল পণ্যের জন্য গ্রাহকদের পরিবর্তিত চাহিদা মেটাতে প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিল্প-অ্যাকাডেমিয়া সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে বৈচিত্র্যময় পণ্যগুলোতে যাওয়ার জন্য আমাদের  সক্ষমতা কতটুকু আছে, তার ওপর। আর সক্ষমতার জন্য উপযুক্ত দক্ষতার প্রয়োজন। সমসাময়িক উৎপাদন কৌশল, পণ্যের আভিজাত্য এবং ফ্যাশন প্রবণতা— এগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য চাকরির বাজারকে উপযুক্ত দক্ষতা সহকারে প্রস্তুত হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘দক্ষতা উন্নয়ন এবং শিল্প ও বিশ্বব্যাপী যে উন্নত প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার বাড়ছে, এদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য বিজিএমইএ উত্তরায় নিজস্ব কমপ্লেক্সে ‘সেন্টার অব ইনোভেশন, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ওএসএইচ’ বা ‘উদ্ভাবন, দক্ষতা এবং পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র’ স্থাপন করছে।’’

বিজিএমইএ-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, ‘বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে আমরা বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এরকম একটি উদ্যোগই হচ্ছে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম, যা শিগগিরই শুরু হবে। আমরা তরুণ প্রতিভাদের সম্পৃক্ত করতে এবং শিল্পের চাহিদা ও গতি-প্রকৃতির সঙ্গে তাদের সক্ষমতা কাজে লাগাতে এনএসইউ’র সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাই।’