‘বাংলাদেশ গ্রিন পোশাক কারখানার আবাসস্থল হিসেবে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠিত’

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বিজিএমইএ পোশাক শিল্পে টেকসই উন্নয়ন উন্নীত করার জন্য বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই সর্বাধিক গ্রিন পোশাক কারখানার আবাসস্থল হিসেবে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছে।’

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিজিএমইএ কার্যালয়ে পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সানজিদা রহমান ড্যানির  সঙ্গে এক সাক্ষাৎকালে ফারুক হাসান এ কথা বলেন।

সানজিদা রহমান তাদের নতুন উদ্যোগ ‘অ্যাঞ্জেল ইকো-পেপার’ এবং পোশাক শিল্প খাতে এর সম্ভাব্য ব্যবহারের বিষয়ে অবহিত করার জন্য  বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার ট্রাস্ট প্রধানত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্কিত অপ্রচলিত ধরনের এবং উদ্ভাবনামূলক প্রকল্পগুলো নিয়ে কাজ করে। এর ধারাবাহিকতায় তাদের সাম্প্রতিকতম উদ্যোগ হলো পরিবেশবান্ধব কাগজ তৈরি করা।

এই কাগজ তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে প্রাকৃতিক বর্জ্য পদার্থ যেমন- পাটের বর্জ্য, কাগজের বর্জ্য এবং অন্যান্য জৈব বর্জ্য যেমন- আনারসের  ওপরের অংশ, ধান বা গম কাটার পরে গাছের অবশিষ্টাংশ, ঘাস বা কচুরিপানা ব্যবহার করা হয়। উপরন্তু, পোশাক কারখানার বর্জ্যও এ পণ্যের একটি সম্ভাব্য কাঁচামাল।

পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার ট্রাস্ট পোশাক এবং জুতা শিল্পের জন্য ট্যাগ তৈরিতে ‘অ্যাঞ্জেল ইকো-পেপার’ ব্যবহার করতে আগ্রহী।

প্রতিষ্ঠানটির আগামীতে ট্যাগ ছাড়াও এ দুটি শিল্পের জন্য বাক্স ও অন্যান্য পণ্য তৈরির সম্প্রসারিত পরিকল্পনাও রয়েছে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান পিএফডিএ- ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার ট্রাস্টের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং অ্যাঞ্জেল ইকো-পেপারের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন।

তিনি ২০৩০ সাল নাগাদ শিল্পের উৎপাদনে টেকসই উপাদানের মিশ্রন ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করার বিষয়ে বিজিএমইএ’র কৌশলগত রূপকল্প বাস্তবায়নে অর্গানিক ও পুনর্ব্যবহৃত (রিসাইকেল্ড) উপকরণ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।